বান্দরবান লাইভ: লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ৪দিন আটক রেখে উপর্যপুরি ধর্ষণ করা হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে স্থানীয় ইউপি মেম্বার। ধর্ষণ শেষে ওই স্কুল ছাত্রীকে একটি বাগানে অচেতন অবস্থায় রেখে গেলে বাগানের ম্যানাজার মোতাহের হোসেন তাকে উদ্ধার করে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করে।
ইউনিয়নের পাগলীর আগা এলাকায় গত শনিবার এই ঘটনা ঘটে। লামা থানায় এবিষয়ে স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক আব্দুল্লাহ আল নোমান নয়নসহ ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে ফাঁসিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নাছির মাষ্টারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান নয়ন (২০) একা পেয়ে ছুরির ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে পাহাড়ে নিয়ে যায়।
সেখানে জোর করে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে। রাতে মেয়েটির জ্ঞান ফিরে আসলে ধর্ষক নয়ন মেয়েটিকে জোর করে বগাইছড়ি তার বাড়িতে নিয়ে যায়। নয়ন বাড়িতে স্কুল ছাত্রীটিকে ২ দিন ধরে আটক রেখে উর্পযপুরি ধর্ষণ করে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯ টায় পাগলীর আগা এলাকার ডালডা বাগানে মেয়েটিকে ফেলে রেখে যায়। বাগানের ম্যানাজার মোতাহের হোসেন মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে তার বাবা মা কে খবর দেন। বাবা-মা আসতে বিলম্ব হওয়ায় বুধবার সকালে বাগান ম্যানাজার স্থানীয় ভিডিপি জাফর আলমের মাধ্যমে ছাত্রীকে তার মা-বাবার কাছে পৌছে দেন।
মেয়েটি অপহরণের সময় স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন মামুন উপস্থিত ছিলেন। মেয়েটি তাকে বাচাঁনোর জন্য মেম্বারের নিকট আকুতি জানালে মেম্বার উত্তরে জানান তুমি সাথে যাও পরে বিয়ে পড়িয়ে দেব। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জায়েদ নূর জানান, আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা, ১৮ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএসটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: