Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

‘বিধিমালা সংবিধান বহির্ভূত’

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বার ২০১৭, ০২:৪০

 


লাইভ প্রতিবেদক: সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেছেন, অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির আচরণ ও শৃঙ্খলাবিধিমালার গেজেট যে প্রক্রিয়ায় হয়েছে সেই প্রক্রিয়াটি সংবিধান বহির্ভূত।

তিনি আরো বলেছেন, এই বিধিমালা করতে গিয়ে আইন মন্ত্রণালয় অধস্তন আদালতের বিচারকদের নির্বাহী বিভাগের অধীনস্থ করে ফেলেছেন।

সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা দিয়ে আমীর-উল ইসলাম বলেন, সম্পুর্ণ বিষয়টি প্রেসিডেন্টের উপর ন্যাস্ত। প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে এটি করবেন।

কিন্তু এখানে যা করা হয়েছে তাতে আইন মন্ত্রণালয় বা আইনমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের ভূমিকা পালন করতে পারে না।

তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার যে বিষয়টি ছিল সেটা মন্ত্রণালয় থেকে দূরে রাখার জন্য, এখন সেই মন্ত্রণালয় চেপে বসেছে।

এতে করে সাংবিধানিক যে প্রক্রিয়া সেটি ব্যহত হয়েছে। আমীর-উল ইসলাম বলেন, এই বিধি করতে গিয়ে আইন মন্ত্রণালয় বিচারকদের নির্বাহী বিভাগের অধীনস্থ করে ফেলেছেন। জুডিশিয়াল সার্ভিসকে ১৩৩ অনুচ্ছেদের অধীনে নিয়ে গেছেন।

১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই রুলস করার কথা। কিন্তু ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন কাজ সম্পাদন করার কথা এই রুলসে লেখা নেই। এখানে আইন মন্ত্রণালয় রুলস তৈরি করার ব্যাপারে ১৩৩ অনুচ্ছেদের বরাত দিয়ে যে রেফারেন্স দিচ্ছেন সেটা সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য।

এতে করে আমার মনে হয় এই রুলসের গোড়াতেই গলদ রয়েছে। তিনি বলেন, অধস্তন আদালত একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।

সেই জায়গায় তাদেরকে যদি সরকারি কর্মচারী বিধি বিধানে অন্তর্ভূক্ত করা হয় সেটি হবে দুর্ভাগ্যজনক এবং মাসদার হোসেন মামলার রায়ে পরিপন্থী।


ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ