‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের ফোন, আপত্তিকর ভিডিও!

লাইভ প্রতিবেদক: ‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের ফোনে আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে বলে দাবী করেছে সংশ্লিস্টরা। ‘শিশুবক্তা’ খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসছে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন তল্লাশি করে মিলেছে বেশকিছু অশ্লীল ভিডিও। এমনকি ২৬ বছর বয়সী এই বক্তার বিয়ে নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে বলে র‌্যাবের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে। তাাদর দাবী এসব পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে।

সংশ্লিস্টরা জানায়, বুধবার রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে র‌্যাব ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা থেকে আটক করে বলে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান খান।

এ ব্যাপারে বিকেলে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর রফিকুল ইসলাম মাদানীকে র‌্যাব হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেসময় তল্লাশি করা হয় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে। প্রাথমিকভাবে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু পর্ন ভিডিও পাওয়া গেছে তার ব্যবহৃত ফোনে। এমনকি তার বিয়ে নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে। আসমা বেগম নামে যে নারীকে বিয়ে করেছেন বলে তার দাবি। এ ব্যাপারেও মিলেছে নানা তথ্য। সামাজিকভাবে রফিকুলের সঙ্গে বিয়ে হয়নি ওই নারীর এমনটাই বলছে র্যাব।

গত গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিলে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মুক্তি পেয়েছিলেন ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম। মুক্তির পর ফেসবুক লাইভে এসে তিনি তখন বলেন, ‘আমি শুধু আপনাদের সমানে এসেছি একটা বিষয় জানানো জন্য যে, আমি এখন সম্পূর্ণ মুক্ত। পল্টন থানায় কিছুক্ষণ ছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাউকে দেখানোর জন্য সেখানে (মতিঝিলে) যাইনি। আমি ইসলামী মূল্যবোধ থেকে...। যে মোদি বাংলাদেশে আসবে, তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে, লাল গোলাপের শুভেচ্ছা দেওয়া হবে, সেটা দেখতে একজন মুসলমান হিসেবে খারাপ লাগবে।’

জানাগেছে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণায়। তিনি থাকেন গাজীপুরে। নেত্রকোণার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক। রফিকুল ইসলাম রাজধানীর বারিধারায় মাদানী এভিনিউয়ের পাশে অবস্থিত জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস পড়েছেন। এছাড়া তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিকদল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গ সংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহ-সভাপতিও বটে।

এদিকে রফিকুল ইসলামের বয়স নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে এক ওয়াজ মাহফিলে তিনি বলেন, ‘আমি ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছি। এখনো আমাকে শিশুবক্তা বানিয়ে রাখবেন কেন? আল্লাহ তাআলা আমাকে বানাইছে। দেখতে এমন লাগে। আমার করার কিছু আছে? এজন্য আমি শুকরিয়া আদায় করি।’ তবে হেফাজত ও রফিকের পরিবারের পক্ষ থেকে ভিডিও ও অন্যান্য বিষয়ে অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে এসবই মিথ্যা। বানোয়াট।

ঢাকা, ০৭ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড