শরিয়তপুর লাইভ: পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত কত বিরল ঘটনাইনা ঘটছে। শিক্ষকরা ছাত্র গড়ার কারিগর। প্রতিটি শিক্ষক শত শত ছাত্র তৈরি করেন। তারা একসময় সমাজের এবং রাষ্ট্রের সম্পদ হয়। বিভিন্ন জন বিভিন্ন স্থানে যোগ দেন কর্মক্ষেত্রে। সময়ের ব্যস্ততায় কারো তেমন সময় হয় না জীবনে যাদের মাধ্যমে শিক্ষা জীবন শুরু সেই শিক্ষাগুরুদের খোঁজ নেওয়ার। তবে এই বিশাল পৃথিবীতে আমরা এর বিপরীত চিত্রও দেখতে পাই। তেমনি একটি বিরল ঘটনা ঘটলো শরিয়তপুর জেলার, সখিপুর থানার তারাবুনিয়া হুজুর বাড়ি হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ ইমাম হোসাইনের জীবনে।
এক সময় যেই ছাত্রদেরকে হাফেজ বানিয়েছেন, তারা আজও হুজুরের অবদান ভোলেনি। ২৭ জন ছাত্র মিলে উদ্যোগ গ্রহণ করেন, প্রাণের শিক্ষাগুরুকে ওমরা পালন করার জন্য পবিত্র মক্কাতুল মোকাররমাতে পাঠাবেন। তারা সকল কিছু বন্দবস্ত করে হুজুরের সামনে হাজির। হুজুর ছাতদের এই উদ্যোগ দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না, নিজের অজান্তেই আনন্দাশ্রুতে ভেসেছেন তিনি।
আগামীকাল ৮ মেয়ে ২০২৩ রোজ সোমবার সকালে ওমরা করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন শিক্ষাগুরু। ছাত্রদের আনন্দের কোন সীমা নেই। ছাত্ররা সকলেই যে খুব ভালো অবস্থানে চাকরি করছেন এমন নয়। প্রায় সকলেই মসজিদে ইমামতি করছেন আবার কেউ হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। অথচ তাদের বিশাল মন বাঁধা হতে পারেনি কোন কিছুতেই। শিক্ষকের অবদান মনে রেখে বন্ধুরা মিলে করেছেন অসাধ্য স্বাদন।
এমনি ভাবে পৃথিবীর সকল শিক্ষাগুরুরা বেঁচে থাকুক ছাত্রদের ভালোবাসায়। একসময় ছাত্ররা খুব ভাল অবস্থানে চলে যায়, কিন্তু অনেকাংশেই ছোট বেলায় যাদের হাত ধরে শিক্ষাজীবন শুরু তাদেরকে আমরা ভুলে যাই। এমনটা হওয়া উচিত নয়। শিক্ষাগুরুর মর্যাদা সর্বদা উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন হওয়া উচিত।
ঢাকা, ০৭ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//কেএ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: