দিনাজপুর লাইভ: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) ভোররাত ৪টার দিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার টিকুর সাল খুঁড়িয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বুধবার রাতে তালাবন্ধ ঘর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওই গৃহবধূর নাম সাহেরা বেগম (৪০)। তিনি সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের পলাশবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওসি জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত গৃহবধূর মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে জামাই মোখলেছুর রহমানকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মোখলেছুর রহমানকে আদালতে সোপর্দ এবং নিহত গৃহবধূ সাহেরা বেগমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো রামদাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের ডোমপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের সাথে সাহেরা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মোখলেছুর রহমান ঘরজামাই হিসেবে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন। এই দম্পতির ২ মেয়ে এবং এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে শামিম (১৮) রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।
নিহতের মা ফাতেমা বেগম (মামলার বাদী) জানান, বিয়ের পর থেকে জামাই মোখলেছুর রহমানের সাথে তার মেয়ে সাহেরা বেগমের প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকতো। এরই জেরে তার কন্যাকে ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার পর লাশ ঘরের বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় কাঁথা দিয়ে দিয়ে ঢেকে রেখে ঘর তালাবদ্ধ করে জামাই মোখলেছুর রহমান পালিয়ে যায়। বুধবার দিনের বেলা কোন এক সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এ সময় তিনি ও নাতি শামিম কাজ করার জন্য বাড়ির বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে এসে তারা সাহেরার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, বুধবার রাতে নিহত গৃহবধূ’র লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: