ঝিনাইদহ লাইভ: ঝিনাইদহে বিএনপি ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাব চত্বরে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। এসময় মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সরকারি কেসি কলেজ থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের পুরাতন ডিসি কোর্টের সামনে পৌঁছালে অপর দিক থেকে আসা বিএনপি’র মিছিলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ। বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটে সদর থানার মধ্যে চলে যায়। এ সময় ঝিনাইদহ মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দেয় ছাত্রলীগ।
এ ঘটনার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের মডার্ন মোড়ে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আবারো বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপি’র অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ফলে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান জানান, বিএনপি’র মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করলে বিএনপি আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশফাক মাহমুদ জন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিল। সেখানে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এসময় পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট এম এ মজিদ অভিযোগ করেন, বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ রাম দা, ডাসা, হকিস্টিক ও চাপাতি নিয়ে হামলার চেষ্টা করলে তারা ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করে। হামলায় বিএনপি’র ৭ জন নেতাকর্মী কমবেশি আহত হয়েছেন বলেও দাবি তার।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, বিএনপি ও ছাত্রলীগের পৃথক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে একে অপরের প্রতি হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কোনো আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা, ০৮ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: