
পটুয়াখালি লাইভ: উপকূলের ক্রমশই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এটি বড় আকারের ঘূর্ণিঝড় হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলজুড়ে মাঝারি-ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। দমকা হাওয়া বইছে গোটা উপকূলে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত জেলার ৮ উপজেলায় মোট ৩১ হাজার ৩৯০ জন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ ৪৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পটুয়াখালী ও কলাপাড়া রাডার স্টেশন। নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে অর্ধশত নিম্নাঞ্চল। গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। রাস্তাঘাট ফাঁকা অবস্থায় দেখা গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ধেয়ে আসার খবরে উপকূলের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে আতঙ্ক।
এমন পরিস্থিতে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা এবং তাদের দূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কলাপাড়া রাডার স্টেশনের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. ফিরোজ কিবরিয়া জানান, সোমবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত কলাপাড়া রাডার স্টেশন ২৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সূখী জানান, পটুয়াখালীতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য মানুষের জানমাল রক্ষা, আঘাত হানার পূর্বে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদে কাছাকাছি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
তিনি আরো জানান, জেলার ৮ উপজেলায় মোট ৭০৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ২৬টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম, পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, শুকনা খাবার এবং নগদ অর্থ সরবরাহ করা হয়েছে।
ঢাকা, ২৪ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: