কুড়িগ্রাম লাইভ: কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০ বছর থেকে এক্স-রে সুবিধা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যানুযায়ী দেশের সবচেয়ে দরিদ্র কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ। সেই উপজেলা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে রোগীদের অভিযোগ জরুরি বিভাগে সরকারি কোন প্রকার সুবিধা পান না। সেলাই করার জন্য সুই, সুতা, গজ, পভিসেভ থেকে শুরু করে সবকিছুই হাসপাতালের বাহির দোকান থেকে কিনতে হয়। এই দরিদ্র এলাকায় সুবিধা বঞ্চিত রোগীরা হাসপাতালে এসে বিপাকে পরে যায়। এমন কি কাছে টাকা না থাকলে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রী বাকি দিয়ে কিনে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা গ্রহণ করে।
ভুক্তভোগী রাজিবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু বক্কর বলেন, আমি আমার ভাগিনা কে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসার জন্য যাবতীয় সব কিছুই বাহির থেকে কিনতে হয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি বাবার চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলাম নামে মাত্র সরকারি হাসপাতাল কিন্তু সবকিছু হাসপাতালের বাহির থেকে কিনতে হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা মোঃ সারোয়ার জাহান বলেন,আমি ২০২০ সালে আসার আগে থেকেই এক্স রে মেশিন বন্ধ। এক্স রে মেশিনের টেকনোশিয়ান নেই,আমারা সরকারের কাছে চাহিদার তালিকা বার পাঠিয়েছি কিন্তু আসেনি।
জরুরি বিভাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সমস্ত চিকিৎসার সামগ্রী আমাদের হাসপাতালে সংগ্রহ করা আছে কিন্তু জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত যারা আছেন তারা এ সমস্যা সৃষ্টি করতেছে।
ঢাকা, ২৪ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ//জেডআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: