চট্টগ্রাম লাইভ: এবার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ি ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এনিয়ে চলছে নানান কানাঘোষা ও গুঞ্জন। আলোচনা আর সমালোচনার যেন কমতি নেই। এক সময়কার বাঘ বলে পরিচিত সেই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ি ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়ার সাহস কেউ পেত না। এমনকি তার একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চট্টগ্রাম শহরের বাড়ি ‘গুডস হিল’ ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের স্ত্রী-সন্তানদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবিতে ২৯ অক্টোবর এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের জেলা ও মহানগর শাখার যৌথভাবে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের জেলার সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেল। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল, মহানগরের আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান সজিব ও সাজ্জাদ হোসেন এবং সদস্য সচিব কাজী রাজিশ ইমরান।
গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী। বক্তব্যে তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, 'ক্ষমতা ছাড়ার পর একা বাড়ি ফিরতে পারবেন না। সকল শহিদদের কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হবে।'
এর প্রতিবাদে গত ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে সমাবেশ করে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দেয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। অন্যথায় গুডস হিল ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এ সংগঠনটির নেতারা। তাই তারা উদগ্রীব। যদিও এটা চট্রগ্রামে কতটুকু সম্ভব তা এখন ভাববার বিষয়।
ঢাকা, ২২ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: