লাইভ প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রূপা বিশ্বাসকে সালাম না দেয়ায় সম্মানিত ইমামকে যে অপমান অপদস্ত করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা পয়েজী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ইমাম মানে নেতা। ইমামগণ নামাজের যেমন নেতা সমাজেরও নেতা। আর সমাজের নেতা হলো, সত্যিকারের জনপ্রতিনিধি। সমাজের মানুষ যেমন তাদেরকে সম্মান করেন, শ্রদ্ধা জানান, সমিহ করেন; রাষ্ট্র এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরাও তাদেরকে সম্মান করবেন, এটাই স্বাভাবিক।
নেতৃদ্বয় বলেন, শুধু একজন সামান্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেন- বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতিও ইমামগণকে আগে সালাম দেন। কারণ, সালাম প্রজাতন্ত্রের কোন 'কোড অফ বিজনেস' নয়, বরং সালাম ইসলাম ধর্মের একটি ধর্মীয় বিধান। রাসূল সা. মুসলমানদেরকে নির্দেশ দেয়েছেন, অন্য মুসলমানকে বেশি বেশি সালাম দিতে। আর ইমাম ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় এবং সামজিক নেতা। অতএব, সমাজের প্রতিটি শ্রেণিপেশার মানুষের উচিত ইমামগণকে আগে সালাম করা। সালাম যেহেতু একটি ধর্মীয় বিধান, অতএব সালামের কিছু ধর্মীয় নির্দেশনাও আছে।
তারা বলেন, একজন মুসলমান একজন অমুসলিমকে মুসলমানের মত সালাম করতে পারে না। পুরুষদের জন্যেও মহিলাগণকে সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরন করতে হয়। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ইমাম একজন যোগ্য আলেম হিসাবে ইসলামে সালামের বিধান ভাল করেই জানেন। এজন্য তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রূপা বিশ্বাসকে সালাম না দিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিতে অত্যন্ত সঠিক কাজ করেছেন।
এর প্রেক্ষিতে কলারোয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলাম বিদ্বেষী বেয়াদব রূপা বিশ্বাস সম্মানিত ইমামকে যে অপমান অপদস্ত করেছেন, তা চরম শিষ্টাচার বহির্ভুত এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। তিনি বাংলাদেশের সকল ধর্মীয় নেতা এবং ইমামগণকেই অপমান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তর ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়েছেন। এহেন অপরাধের জন্য আমরা ইউ এন ও রূপা বিশ্বাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছে।
ঢাকা, ২১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: