Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বালিয়ামারি বর্ডার হাটের ব্যবসায়ীদের কর্মহীন জীবন (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবার ২০২২, ২৩:১৪

বালিয়ামারি বর্ডার হাট

কুড়িগ্রাম লাইভ: করোনার কারণে দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় বন্ধ রয়েছে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারি বর্ডার হাট। ২০২০ সালের শুরুর দিকে ভারত-বাংলা যৌথ বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে দীর্ঘদিন হাট বন্ধ থাকার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। আয়, রোজগারহীন ও দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন সংশ্লিষ্ট ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে হাটটি আবারও খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সাধারণ জনগণসহ ক্রেতা-বিক্রেতারা।

বালিয়ামারী-কালাইর চর সীমান্ত হাট হচ্ছে প্রথম বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সীমান্ত হাট। যা ২০১১ সালে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারি সীমান্ত ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কালাইচর সীমান্তের জিরো পয়েন্টে চালু হয়। হাটের উদ্বোধন করেন তৎকালীন বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান এবং আনন্দ শর্মা।

চলতি বছরের ১৮ মার্চ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম রাজিবপুর সরকারি সফরে আসেন। এসময় হাটটি পুনরায় চালু করার ব্যাপারে তিনি ইন্ডিয়ার আমপাতি জেলার ডিএম-এর একটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত জানানো নেওয়ার কথা জানান। পরবর্তী সময়ে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এর আগেই এই অঞ্চলের বন্যা দেখা দেয়। এ ফলে বর্ডার হাট খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এদিকে বর্ডার হাটকে কেন্দ্র করে জীবিকানির্বাহ হয় বেশ কিছু মানুষের। কিন্তু তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন তারা। তাদের এমন সমস্যার কথা জানান রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনকে। পরে জেলা প্রশাসক ভারতের সাথে কথা বলে বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বৈঠকের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

স্থানীয় ফরিদ নামের এক কুলি ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, বডার হাটটা যখন খোলা ছিল আমরা সুপারি নামাইতাম, আদা নামাইতাম, তেতুল নামাইতাম। হাটটি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে আমরা বেকার হইয়া বইসা আছি।

বর্ডার হাটের কার্ডধারী বিক্রেতা হামিদুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, তিন বছরের বেশি সময় ধরে বর্ডার-হাট বন্ধ থাকার কারণে আমরা পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাইতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমরা বেকার হয়ে বসে আছি। রাজিবপুরের ১০ হাজার লোক এ বর্ডার হাটের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুল আবেদন বর্ডার হাটটি যাতে দ্রুত খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

বর্ডার হাটের ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, আমাদের অঞ্চলটি মুক্তাঞ্চল তাই প্রধানমন্ত্রী আমাদের হাটটি উপহার দিয়েছিল। কিন্তু তিন বছরে আমরা বেকার হয়ে বইসা আছি নিরুপায় হয়ে গেছি। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি হাটটি যেন তাড়াতাড়ি খুলে দেওয়া হয়।

বর্ডার হাটের ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, আমার মত অনেক তরুণ এখন বেকার হয়ে গেছি। বর্ডার হাট বন্ধ থাকায় কাজ-কাম করতে পারছি না। আমরা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি।

রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, বর্ডার হাটটি হওয়ার পর এলাকার মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কেউ কেউ এই মালামাল টানাটানি করেও বেশ ভালো চলছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে হাটটি বন্ধ। এর ফলে এলাকার ব্যবসায়ী সহ যারা মালামালগুলো বহন করে পরিবার চালাতো তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত জেলা প্রশাসক পর্যায়ে বৈঠক করে হাটটি যেন খুলে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে কথা বলবো।

বর্ডারহাটি খুলে দেওয়ার বিষয়ে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষের জীবনমান, বেকারত্ব সহ সব ধরনের সমস্যা বিবেচনায় রেখে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'জেলা প্রশাসন জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনমান, বেকারত্বসহ সব ধরনের সমস্যা বিবেচনায় রেখে আমরা কয়েক মাস আগে ভারতে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। পরে তারা পরিদর্শনে আসতে চেয়েছিলেন কিন্তু বর্ডার হাটে বন্যায় পানি ওঠায় পরিদর্শনে আসেননি। আবারো চিঠি পাঠিয়েছি ভারতের দায়িত্বশীলদের সাড়া পেলেই দ্রুত বর্ডার হাট খোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।'

ভিডিও: https://www.facebook.com/Campuslive24/videos/1319616948575330

ঢাকা, ১৭ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেডআই//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ