
নোয়াখালী লাইভ: আওয়ামী লীগের ত্রী-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নে সম্মেলন চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সম্মেলনের উদ্বোধনকে ঘিরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে দুপক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়াগ মহা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাফিজ তানবির, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম, ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন বাবু, জয়াগ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাব্বিসহ ১০ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের একজন সদস্যকে সমন্নয়ক করে সোনাইমুড়ীর জয়াগে ত্রী-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ওই সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠানের প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা না আসলেও অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কার্যক্রম শুরু করে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক।
পরে অনুষ্ঠানস্থলে সাংসদ এ এইচ এম ইব্রাহিম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সম্মেলনের সমন্বয়ক ফুয়াদ হোসেন আসেন।
এরপর অনুষ্ঠান আগে শুরু নিয়ে অতিথিদের সঙ্গে আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর এক পর্যায়ে উপস্থিত আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে জয়াগ মহা বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষ ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অনুষ্ঠান শুরু নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। এ কারণে সম্মেলন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপের কারণে বড় ধরনের কিছু ঘটেনি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
ঢাকা, ০৯ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: