
লাইভ প্রতিবেদক: নারী ধর্ষণের অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে জনতা। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওই নেতার নাম আব্দুল জলিল মৃধা। তিনি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বাপ্তা গ্রামের ওয়ার্ড সভাপতি।
এলাকাবাসী জানায়, আব্দুল জলিল মৃধা ওই নারীকে দীর্ঘদিন যাবত উত্যক্ত করে আসছিলেন। আজ সকালে ওই বাড়ির লোকজন বিভিন্ন কাজে বাইরে চলে গেলে ওই বিধবার বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নেতা। পরে ওই নারীর সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকাবাসী জানতে পেরে ঘরের মধ্যেই তাকে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ‘আমাকে প্রায় সময় বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন তিনি। এতে মুখ খুললে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপবাদ রটিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়। আজ সকালে আমার সঙ্গে জোর করে অনৈতিক কার্যকলাপ করতে আসলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখে। সে অবরুদ্ধ হওয়ার পর আমাকে বলে তাঁর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে এটা যেন সবাইকে বলি, তা না হলে সে আমার বড় ক্ষতি করবে।’
এ বিষয়ে অবরুদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল মৃধা বলেন, ‘আমি তাঁকে (বিধবা নারী) বিয়ের করেছি। আমার মানসম্মান নষ্ট করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে।’ আপনি তাঁকে কবে বিয়ে করেছেন? বিয়ের কী রেজিস্ট্রেশন কিংবা কাবিন হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাবিন হয়নি। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে আমরা বিয়ে করেছি।’
বিয়ে করলে ওই নারী কেন অস্বীকার করছেন? আপনি যদি তাকে বিয়ে করে থাকেন, তবে ওই নারীকে আপনার বাড়িতে নেননি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নেতার কাছ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. সাইদুল হক খোকন বলেন, ওই নেতাকে একটি বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসেম জানান, ‘আব্দুল জলিল ইউনিয়নের বাপ্তা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তবে অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য তালাবদ্ধ করে রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেনি।’
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ জানান, ঘটনা জানার পরপরই ঘটনাস্থলে ইউনিয়ন পরিষদের দুজন মেম্বারকে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ‘এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ আমাকে অবহিত করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।’
এ নিয়ে এলাকায় নানান আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
ঢাকা, ০৬ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: