লাইভ প্রতিবিদক: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সাবেক কোচিং শিক্ষকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নোয়াখালীতে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষকের নাম আবদুর রহিম রনি (২৫)।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
শুক্রবার বিকেলে আবদুর রহিম রনির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সন্ধ্যায় আমলি আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এমদাদ শুনানি শেষে আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড মঞ্জুর শেষে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, রনির কোচিং থেকে কিছুদিন আগে পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্য স্থানে প্রাইভেট শুরু করে ওই স্কুলছাত্রী। এতে রনি ক্ষিপ্তহয়ে যায় রনি। যদিও এর পরে ওই ছাত্রীর বাড়ির উপর দিয়েই আসা যাওয়া করতেন শিক্ষক রনি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে ছাত্রীর মা ঘরে না থাকার সুযোগে কোনো একসময় বাসায় ঢুকে স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ঘরে থাকা ছোরা দিয়ে হাত ও গলা কেটে তাকে হত্যা করে। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ঘরের আলমারিতে থাকা মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রনি প্রাথমিকভাবে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে নখের আঁচড় রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি বাড়ির কক্ষ থেকে ওই স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি অর্ধনগ্ন, গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০), আবদুর রহিম রনি (২০) ও ইমাম হোসেনকে (৩৯) আটক করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে একাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রনি ও ইসরাফিল আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপর আটক সাঈদ ও ইমাম হোসেনকে ১৫৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: