লাইভ প্রতিনিধি: হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে যাওয়া কুমিল্লার সাত তরুণের সহযোগী শাকির। তিনি নানাভাবে তরুণ-যুবকদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন। এমন অভিযোগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রামপুরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশ পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান মামলা করেন।
পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর আদালত শাকির ও তাঁর সহযোগী আবরারুল হক ভিলাকে আদালতে পাঠান। আদালত ডা. শাকিরকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠান।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান।
দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক এস এম মিজানুর রহমান ডা. শাকিরকে আদালতে হাজির করেন। পরে আসামিপক্ষ শাকিরের জামিন চেয়ে আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর এবং আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে আসামি ভিলা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রহমান ছিদ্দিকীর আদালত তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, শাকির দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের জন্য সদস্য সংগ্রহ, সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং কথিত হিজরতে যেতে সহায়তা করতেন।
ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: