শেরপুর লাইভ: শেরপুরের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষক শামিমে বিচারের দাবীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সচেতন শিক্ষার্থীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন কর্মসূচী ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকরিপি প্রদান করেছে।
রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। পরে মানববন্ধন শেষে শেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কামারিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম স¤্রাট, শিক্ষার্থী হাসিনা জাহান হাসি প্রমূখ।
এসময় বক্তারা ধর্ষক শামিম এবং তার সহযোগী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্থানীয় সাংসদ হুইপ আতিউর রহমান আতিকের ভাই কামারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বারি চাঁনকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবী জানানো হয়।
মানববন্ধনে জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং শিক্ষক অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, শেরপুর সদর উপজেলার সূর্যদী গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. শামিম মিয়া (২২) নকলার চৌধুরি ছবুরুনেছা মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের প্রতিবন্ধী জামের মিয়ার কন্যা জিমা আক্তারকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর শেরপুরের কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে কয়েক দফা ধর্ষন করে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায়।
এঘটানায় শেরপুর সদর থানায় মামলা না নেওয়ায় ছাত্রীটির মা সাজেদা বেগম ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে মূল আসামী ধর্ষক শামিম এবং ধর্ষন চেষ্টাকারী কামারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হুইপ আতিকের ভাই আব্দুল বারি চানসহ ৪ জনকে আসামী করে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করলে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন মিয়া মামলাটি এফআইআর করার জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
পরের দিন ২১ সেপ্টেম্বর শেরপুর সদর থানায় আদালতের নির্দেশে মামলাটি এজাহার হিসেবে নেওয়া হলেও ঘটনার ৭ দিন পরও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: