জয়পুরহাট লাইভ: শিক্ষক সংকটে ঢিলেঢালাভাবেই চলছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির 'মহীপুর হাজী মহসীন সরকারি কলেজ'র পাঠদান কার্যক্রম। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কলেজের এইচএসসি, স্নাতকসহ সাতটি অনার্স বিভাগের সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থীকে ১৮ শিক্ষক কোনোরকমে পাঠদান করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষক পদ ৫২, সেখানে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ ৩৪টি পদ শূন্য আছে দীর্ঘদিন ধরে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— শিক্ষক সংকটে সব ক্লাস হয় না। প্রথম ও দ্বিতীয় বছর শেষ করলাম, আশানুরুপ ক্লাস করতে পারলাম না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হবে। অনেকে বলছেন দীর্ঘদিন এই কলেজে অধ্যায়ন করে আসছি প্রথম থেকে একই সমস্যা। আমরা এই সমস্যার নিরসন চাই।
কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী আল্পনা খাতুন বলেন, রুটিন অনুযায়ী আমাদের ক্লাস প্রতিদিন হয় না। ভর্তির পর থেকেই শিক্ষক সংকটের কারণে এমন অবস্থা চলে আসছে। সারাবছর এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হবে।
মানবিক বিএ শেষ বর্ষের ছাত্র আরাফাত হোসেন বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক কম থাকায় প্রথম ও দ্বিতীয় বছর শেষ করলাম, আশানুরুপ ক্লাস করতে পারলাম না।
অর্নাস ইসলামের ইতিহাসের ছাত্র তানভীর ইসলাম শান্ত বলেন, এইচএসসি থেকে অনার্স পর্যন্ত পড়ালেখা করছি। প্রথম থেকেই ক্লাস ঠিকমতো করতে পারলাম না।
কলেজের প্রধান সহকারী জাহিনুর ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রাণিবিদ্যা, অর্থনীতি, আইসিটি, গ্রন্থাগারিক ও ক্রীড়া বিভাগে কোনো শিক্ষকই নেই। এ ছাড়া রসায়ন, পর্দাথবিজ্ঞান, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান, গণিত, কৃষিবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে একজন করে শিক্ষক আছেন।
এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুভাশীষ কুমার মণ্ডল বলেন, অল্প শিক্ষক দিয়ে এতগুলো শিক্ষার্থীদের পাঠদানে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এশিয়া উপমহাদেশের বর্ষীয়ান মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৬৯ সালে পাঁচবিবির ২ কিমি পূর্বে মহীপুরে কলেজটি স্থাপন করলেও ১৯৮২ সালে জাতীয়করণ হয়।
ঢাকা, ১৪ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: