নোয়াখালী লাইভ: সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে কিশোর গ্যাং সদস্যদের ছুরিকাঘাতে মো. জোবায়ের (১৮) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর পৌর এলাকায়। এ ঘটনায় তিন সহোদরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত জোবায়ের বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদি নগর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে। সে নোয়াখালী আইডিয়াল পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিভিল টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে জোবায়ের দ্বিতীয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর গ্রামের বাদশা আলমের ছেলে বোরহান উদ্দিন রাকিব (২২), আশরাফুল ইসলাম পিয়াস (১৯), আরিফুল ইসলাম (১৬) ও একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাহিদ আলম রিমন (১৬)।
মঙ্গলবার নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে রাতেই মূল অভিযুক্তসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে সিনিয়র-জুনিয়র ইস্যুতে রাকিব নামে এক কিশোরকে থাপ্পড় দেয় কামরুল। পরে তারই জের ধরে রাকিব, তার আরও দুই ভাই আহাদ ও পিয়াসসহ কিছু বখাটে মিলে কামরুলকে মারধর করার জন্য পাহারা দিতে থাকে। এই খবর পাওয়ায় যোবায়ের বাসা থেকে বের হচ্ছিল না। রাতে হঠাৎ করেই লাদেন নামে কামরুলের বন্ধু তাকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নেয়।
বন্ধুর ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয় কামরুল। এরই কিছুক্ষণ পর নোয়াখালী শিশু পরিবার সংলগ্ন এলাকায় রাকিব, আহাদ ও পিয়াসসহ আরও ১০ থেকে ১৫ জন কামরুলকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে তাকে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য, কুমিল্লা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা, ১১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: