ইডেন লাইভ: নানা ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নিয়েছে ইডেন মহিলা কলেজ। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে গত কয়েকদিন বেশ কিছু ঘটনা ঘটলেও সব ছাপিয়ে হঠাৎ দৃশ্যপটে ইডেন কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রেহেনা আক্তার শিরিন। না, তিনি কোনো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় আসেননি। মূলত তার বয়স নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
সম্প্রতি ছাত্রলীগের কোন্দলে উত্তাল ইডেন কলেজের চলমান ইস্যু নিয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রেহেনা আক্তার শিরিন। তার সেই সাক্ষাৎকারের একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন, এত বেশি বয়সের একজন নারী কীভাবে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত থাকতে পারেন?
জানা গেছে, ইডেন কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রেহেনা আক্তার শিরিন ২০০৫ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৭ বছর বয়সে তিনি এসএসসি পাস করলেও বর্তমানে তার বয়স ৩৪। ২০০৭ সালে তিনি ইডেন মহিলা কলেজের মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হন। কিছুদিন আগে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন ইডেন কলেজ ছাত্রদলের এ আহ্বায়ক।
তবে কলেজ শাখা ছাত্রদলের এক নেত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেছেন, রেহেনা আক্তার শিরিন বিবাহিত। তিনি দুই সন্তানের জননীও।
ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে থাকা আরেক নেত্রী জানান, আসলে এ বিষয়টা নিয়ে আমরাও বিড়াম্বনায় পড়েছি। দুদিন আগে ওনার একটি সাক্ষাৎকারের ছবি ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই তার বয়স নিয়ে ট্রল করছেন। তাছাড়া ওনার দুটি সন্তান রয়েছে। নিজের সংগঠনকে নিয়ে আর কী বলবো? আমাকেও অনেকে এসব নিয়ে মেসেজ দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা সত্যিই বিব্রত।
বয়স, ছাত্রত্ব, বিয়ে ও সন্তানের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় রেহেনা আক্তার শিরিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকারি দল ক্ষমতায় থাকলে কতকিছুই তো বলা যায়৷ আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল করি। রাজপথে আন্দোলন করি৷ সেটা বড় কথা না হয়ে ছাত্রত্বের প্রশ্ন তোলা অবান্তর।
২০০৭ সালে ইডেন কলেজে স্নাতকে ভর্তি হয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত কীভাবে ছাত্রত্ব ধরে রাখলেন এবং আপনার প্রকৃত বয়স কত? এমন প্রশ্নের জবাবে শিরিন বলেন, সরাসরি না বললে আপনি বুঝবেন না। তাছাড়া মানুষের বয়স ও বেতন জানতে হয় না। এছাড়াও বিবাহিত এবং সন্তান থাকার বিষয়টিও অস্বীকার করেন ইডেন ছাত্রদলের আহ্বায়ক রেহেনা আক্তার শিরিন।
রেহেনা আক্তার শিরিনের ছাত্রত্ব ও পদের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম জানান, কেউ যদি সমালোচনা করেন, তবে তা তার ব্যক্তিগত বিষয়। যে কেউ ঢালাওভাবে অভিযোগ করতেই পারেন। ছাত্রলীগ যদি ছাত্রদলকে ব্লেম দেয়, আমরা তো কিছু করতে পারি না। আমরা সার্টিফিকেট ও সিভি যাচাই-বাছাই করেই তাকে পদ দিয়েছি। আর ইডেন কলেজে নতুন কমিটি দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা আছে।
ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: