রাজশাহী লাইভ: তিনি পৌর মেয়র বটে। এলাকায় শ্রুতি রয়েছে তার ধর্ষণ মামলা নিয়ে। একটা নয় একাধিক ধর্ষণ মামলার আসামি তিনি। বলছিলাম রাজশাহীর পুঠিয়ার পৌর মেয়রের কথা। তার নাম আল মামুন খান। এবার তিনি ফেঁসে যাচ্ছেন এক কলেজছাত্রীর ধর্ষণ মামলায়।
চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ওই কলেজছাত্রীকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন পৌর মেয়র। কথা প্রসঙ্গে সাফ জানিয়ে দেন চাকরি দেবে না। এমনকি বিয়ে করবেন না। অবশেষে প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী দিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন মেয়র।
গতকাল রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। আজ সকালে অভিযোগটি মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী পুঠিয়া সদর এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাজশাহী কলেজে অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছেন। মেয়র আল মামুন গন্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, এক বছর পৌরসভায় চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। এরপর বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ কর আসছিলেন মেয়র। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট জোর করে তাকে ধর্ষণ করেন মেয়র। সম্প্রতি চাকরি দেবে না এমনকি বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মেয়র আল মামুন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাই এ বিষয়ে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারী জানান, ঘটনার শিকার ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত বছরের ১১ এপ্রিল মেয়র আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন জেলার দুর্গাপুর উপজেলার এক সেবিকা। ধর্ষণে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ঢাকা, ০৫ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেডআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: