Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল, নোটিশ

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২২, ২৩:৫৯

শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল, নোটিশ

নড়াইল লাইভ: অবশেষে ঘুম ভাঙল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। তারা আগে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ ছিল এলাকাবসীর। শেষমেষ উপরের চাপে সিদ্ধান্ত নিলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানাগেছে বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান এ তথ্য জানান। সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

এতে বলা হয়, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অধ্যক্ষ লাঞ্ছনার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের শিক্ষার্থী মো. রহমাতুল্লাহর ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে। তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের সম্মান শ্রেণির ছাত্র।

এ ছাড়া উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সময় নেতিবাচক ভূমিকা পালনের জন্য মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আখতার হোসেনের বিরুদ্ধেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না— সে মর্মে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

একই সাথে ওই ঘটনায় নির্লিপ্ততার কারণে কলেজের গভর্নিং বডিকে শোকজ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদকে শোকজের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গত ২৮ জুন তদন্ত কমিটি গঠন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

সিন্ডিকেট সভায় ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনের ওপর বিস্তর আলোচনা শেষে এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট। গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন— খুলনা সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শরীফ আতিকুজ্জামান।

কমিটির সদস্য ছিলেন— জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক এ এস এম রফিকুল আকবর, কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন— খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক আ স ম আবদুল হক।এ নিয়ে সারা দেশে নিন্দার ঝড় উঠে। অবশেষে টনক নড়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। তারা ওই ঘটনায়ি এখন তৎপরতা চালাচ্ছেন।

এদিকে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনার ১০ দিন পর ২৭ জুন মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির প্রধান এসআই শেখ মোরছালিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১৭০ থেকে ১৮০ জনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন। এরপর এই মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মির্জাপুরের সৈয়দ রিমন আলী, মির্জাপুর বাজারের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী শাওন খান, মধ্যপাড়ার মো. মনিরুল ইসলাম, রহমত উল্লাহ রনি এবং সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের কারিগর পাড়ার বাসিন্দা নুরুন্নবী।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন সদর থানার ওসি শওকত কবীর। তাকে এরই মধ্যে প্রত্যাহার করে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে সংযুক্ত করা হয়। তবে কী কারণে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়ে হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।

প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে মামলার বাদী এসআই শেখ মোরছালিনকেও। তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই ঘটনায় সারাদেশে তুলকালম কাণ্ডের সৃস্টি হয়েছিলা।

ঢাকা, ০৭ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ