জয়পুরহাট লাইভ: জয়পুরহাটে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ মে) সকালে পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা এলাকা থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই ছাত্রীর নাম আয়েশা আক্তার। তিনি পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের মোজ্জামেল হকের মেয়ে এবং জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আয়েশা তার ভাইয়ের বাসায় থাকতেন। ঈদের পরের দিন আয়েশাকে বাড়িতে রেখে তার ভাই ও ভাবি শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। গতকাল শুক্রবার সকালে আয়েশা প্রতিবেশী নারীদের সঙ্গে দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে পিকনিকে যান।
রাত ৯টার দিকে এসে বাড়িতে কেউ না থাকায় পাশের বাড়ির দুই ভাতিজিকে নিয়ে ঘরে শুয়ে পড়েন। রাত ১১টার দিকে আয়েশা পাশের ঘরে ফোনে কথা বলতে যান। এরপর ভাতিজিরা ঘুমিয়ে পড়েন। তারা ধারণা করেন যে, রাতের কোনো এক সময় কে বা কারা কৌশলে বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে ভেতরে ঢুকে আয়েশার মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়ে যায়।
সকালে অন্য ঘরে শুয়ে থাকা ভাতিজিরা জেগে উঠে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে বাইরে থেকে ঘরের দরজা আটকানো থাকায় ডাকাডাকি করলে পাশের বাড়ি থেকে তাদের মা এসে দরজা খুলে দেন। বাড়িতে প্রবেশ করে দেখতে পান আয়েশার মুখে কাপড় গোঁজা ও বিবস্ত্র মৃতদেহ বিছানায় পড়ে আছে। এ ঘটনা দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পাঁচবিবি থানার ওসি পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, ওই ছাত্রীর গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তের পর হত্যার কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
ঢাকা, ০৭ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: