Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের পিয়নের কাণ্ড, পিছিয়ে গেল ৫১ শিক্ষার্থী!

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বার ২০১৭, ০২:৩৯

 


লক্ষ্মীপুর লাইভ: ৫১ শিক্ষার্থী। তাদের ভাগ্য নিয়ে চিনিমিনি খেলা হয়েছে। তবে এর নেপথ্যে কারা ছিল এনিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ। চলছে জেলা জুড়ে তোলপাড়। তবে কেন করা হয়েছে এটা কি ইচ্ছকৃত নাকি ভূলবশত এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।

তবে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল মাঈন উদ্দিন পাঠান বলেন, ফরম পূরণে নগদ টাকা নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় একাডেমিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। বিভাগের সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অনার্স ও ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ৫১ ছাত্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়নি। তারা ফরম পূরণের জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের খণ্ডকালীন কর্মচারী ওসমান গনির কাছে জমা দিয়েছিলেন।

তিনি টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পূরণ করেননি। বুধবার ওই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারে। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।

বিষয়টি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান নুরুল আফসার চৌধুরীর কাছে অভিযোগ করা হয়। তিনি আগামী বছর পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে বলেন।

এ নিয়ে প্রতারিতদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বুধবার ওসমান কলেজে আসেনি, তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যাবতীয় দাফতরিক কাজ খণ্ডকালীন কর্মচারী ওসমান পরিচালচনা করেন। এ সুবাদে তিনি অক্টোবর ও নভেম্বরে অনার্স ও ডিগ্রি দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের নিয়মিত ও অনিয়মিতসহ ৫১ শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কথা বলে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেন।

টাকা দেয়া শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার প্রবেশপত্র নিতে কলেজে আসেন। এ সময় ওসমান তাদেরকে বুধবার (২৯ নভেম্বর) পরীক্ষা শুরুর আগে প্রবেশপত্র দেয়া হবে বলে জানান। সকালে তারা প্রবেশপত্র নিতে এসে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এ সময় তারা কলেজে ওসমানের দেখা পাননি। তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিব্বির আহমেদ ও নুরে আলম বলেন, ওসমান আমাদের বিভাগের প্রধান নুরুল আফসার চৌধুরীর খুব আস্থাভাজন কর্মচারী। তার নির্দেশে আমরা বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ৫১ শিক্ষার্থী ওসমানকে ফরম পূরণের জন্য প্রায় ২ লাখ টাকা দিয়েছি।

তিনি ফরম পূরণ না করায় আমাদের প্রবেশপত্র আসেনি। প্রতারণার বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করা হবে।

 

ঢাকা, ২৯ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ