নোবিপ্রবি লাইভ: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০১৬-১৭ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় কাজ করছে সংঘবদ্ধ চক্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক আমাদের জানান, এই চক্রটি প্রায় ৪৫টি ডিভাইন নিয়ে নোয়াখালীতে এসেছে। চক্রের অধিকাংশ গ্রাহক হচ্ছে নারী ভর্তিচ্ছুরা।
চক্রটি 'Master Card' এর মত দেখতে একটি মোবাইল ও কানের ভিতরে স্থাপনযোগ্য ব্লু-টুথ ডিভাইস আগ্রহীদের কাছে সরবরাহ করে। এছাড়া তারা একটি বিশেষ ধরনের 'জেল কলম' সরবরাহ করে থাকে।
অভিভাবকের ভাষ্যমতে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই চক্রটি প্রশ্ন পেয়ে যায়। জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা প্রশ্নটি সমাধান করে তা মোবাইল কল কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে তাদের ভর্তিচ্ছুদের কাছে পাঠায়।
Master Card এর মত হুবহু দেখতে মোবাইলটি ও কর্ণপটে বহনযোগ্য স্পীকার পরীক্ষার হলে ঢোকার সাথে সাথে চালু করা হয়। এরপর চক্রের সদস্যরা পরিক্ষার্থীদেরকে সরবরাহকৃত ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর বলে দেয়।
এছাড়াও জানা যায়, সরবরাহককৃত জেল কলমটি প্রতারক শিক্ষার্থী প্রশ্নের 'সেট কোড বৃত্ত' ভরাটের জন্য ব্যবহার করে। শিক্ষক OMR শিটে স্বাক্ষর করার পর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে প্রতারক চক্রে 'সেট কোড' বলে দেয়। শিক্ষার্থী রাবার দিয়ে প্রকৃত সেট কোড মুছে তার স্থলে নতুন সেট কোড বসায়।
এ ধরনের পরীক্ষা জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতারক চক্র ২-৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এই টাকা তারা শিক্ষার্থীদের কাজ থেকে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আদায় করে। চক্রটি অভিভাবক বা শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষায় আগেই টাকার বিষয়ে দর পাকাপাকি করে নেয়। এবং লিখিত স্টাম্প পেপারে প্রতিশ্রুতি নেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড: আবুল হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টা সম্পর্কে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। কোন কেন্দ্রেই যেন এই ধরনের জালিয়াতি না হয় তার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছি।
এছাড়াও তিনি বিষয়টি অবহিত করার জন্য রিপোর্টারকে ধন্যবাদ জানান।
ঢাকা, ১১, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: