Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৪ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

সাদার্ন ভার্সিটিতে কবি টি.এস এলিয়ট’র জন্ম বার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবার ২০১৭, ০৪:০২


লাইভ প্রতিবেদক: নানা আয়োজনে সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে পালিত হলো আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান লেখক টি.এস এলিয়ট’র ১২৯তম জন্ম বার্ষিকী।

বুধবার এ উপলক্ষে ইংরেজি বিভাগের উদ্যোগে ইউনিভার্সিটির হল রুমে আয়োজন করা হয় বিশেষ আলোচনা সভা ও মঞ্চস্থ হয় নাটক-দ্যা ককটেল পার্টি।

ইংরেজি বিভাগের প্রধান শাফিন মোহাম্মদ জন’র সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাদার্ন ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সরওয়ার জাহান। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর শামসুজ্জামান ও বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দসহ শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, টমাস স্টেয়ান্র্সএলিয়ট বা টি.এস.এলিয়ট ছিলেন আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান লেখকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একাধারে কবি, নাট্যকার, শক্তিমান সমালোচক ও সম্পাদক।

মূলতঃ নগরজীবনের নেতিবাচক বিষয়কেই তিনি অপূর্ব শিল্পকুশলতায় তুলে ধরেছেন তাঁর কাব্যে। জীবনের যন্ত্রণা, নগরজীবনের হতাশা, দুর্নীতির কর্দযময়তা তীব্রভাবে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কবিতায়। এলিয়ট কবিতা দি লাভ সং অফ জে আলফ্রেড প্রুফ্রক এর মাধ্যমে সবার নজরে আসেন। এই কবিতার পরে তার ঝুলি থেকে একে একে বের হয় বিশ্ববিখ্যাত সব কবিতা। এদের মধ্যে দি ওয়েস্ট ল্যান্ড, দি হলো মেন, অ্যাশ ওয়েন্সডে এবং ফোর কোয়াার্টার্স অন্যতম। নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম মার্ডার ইন দ্যা ক্যাথেড্রাল।

বক্তারা আরও বলেন, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম লেখক টি.এস.এলিয়টের কবিতায় ক্যাথলিসিজমে ধর্মান্তর বিশেষ প্রভাব পড়েছে। ‘দ্য ওয়েইস্ট ল্যান্ড’ কবিতায় এলিয়টকে দেখা যায় তিনি মুক্তির পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। কিন্তু ওই এলিয়টই তাঁর আরেকটি দীর্ঘ কবিতা ‘ফোর কোয়ারটেটস্’-এ এসে সেই পথটাই যেন খুঁজে পেলেন ধর্মে ও আধ্যাত্মিকতায়। এ রকমই আরেকটি মর্মস্পর্শী কাহিনী আমরা দেখি এলিয়টের ‘প্রুফকের প্রেমসঙ্গীত’ নামের কবিতাটিতে। তাঁর একটি ইতিবাচক অবদান তিনি পুজিঁবাদের সংকটকে কাব্যিক অভিজ্ঞতায় ধারণ করেছেন।

বক্তারা উল্লেখ করন, তাঁর লেখায় পুঁজিবাদ সমাজ ব্যবস্থার চিত্র ফুটে ওঠেছে। পণ্য ও পুঁজিকে মুখ্য করতে গিয়ে মানুষকে গুরুত্বহীন, পতিত করার পুজিঁবাদের যে স্বভাবজাত মানসিকতা, ওই প্রপঞ্চটিই ঘুরে ফিরে আসে তাঁর কবিতায়। এলিয়ট বিংশ শতাব্দীর কবিতায় যে ধারাটির সংযোজন করেন তাতে বুদ্ধিবৃত্তির প্রাধান্যটি ব্যাপক হয়ে পড়ে, যুক্তি আকর্ষণ প্রয়োজনীয়তা পায়। এলিয়টের আরো একটি বিশেষ অবদান ছিল তিনি ইংরেজি কাব্যের ভাষাকে সংষ্কার করেছেন।
আলোচনা সভার পর ইংরেজি বিভাগের প্রধান শাফিন মোহাম্মদ জন’র পরিচালনায় ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মঞ্চস্থ হয় টি.এস এলিয়ট’র লেখা নাটক দ্যা ককটেল পার্টি।

 

ঢাকা, ০৪ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ