নোবিপ্রবি লাইভ: গত ২৮ আগস্ট থেকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শুরু হয়েছে ঈদেরছুটি। ঈদের ছুটির পরপরই খালি হতে শুরু করে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস। আর এরই সুযোগ নিতে থাকে বহিরাগত মাদকাসক্ত ও জুয়াড়িরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন নিরিবিলি স্থান ছাড়াও একমাত্র ছাত্র হল, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল তাদের নিরাপদ আড্ডার আশ্রম।
ঈদের বন্ধের মধ্যে ক্যাম্পাস প্রায় শিক্ষার্থী শূন্য, এরই সুযোগে ক্যাম্পাসের পুকুর পার, নতুন তৈরিকৃত বিল্ডিং এবং হলের মধ্য তাদের জমজমাট আড্ডা।
হলে অবস্থানরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হিন্দু শিক্ষার্থী বলেন "আমার ক্যাম্পাসে এখন আমিই আতংকের মধ্যে আচ্ছি, না যানি কখন মাদকাসক্ত জুয়ারিরা আমার রুমেই হামলা করে"।
হলে দ্বায়িত্বরত আনসার সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরাই হলের ভেতর, বহিরাগত ঢুকাচ্ছে। পরিচয় জানতে চাইলে নানা রকম হুমকি-ধামকি দেয়ার কারনে, ভয়ে তারাও এখন কিছু বলে না।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর নিয়ে জানা গেছে, ভাষা শহীদ আবুস সালাম হলের চিহ্নিত কিছু রুমেই চলে এইসব জুয়া এবং মাদকের আসর। প্রতিদিন প্রায় লক্ষ-লক্ষ টাকার জুয়ার আসর বসে হলে। তাছাড়া ইয়াবা, গাজা, ফেন্সিডাইলের মত মাদকতো নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার।
এইসব জুয়া ও মাদকের আসরের ফলে এর আগেও বন্ধের মধ্যে বেশ কয়েকবার হলের বিভিন্ন রুমে তালা ভেঙে চুরি, লুটপাট ছাড়াও হলের লাইট ফ্যান চুরির ঘটনাও ঘটেছে।
মাদক ও জুয়া ছাড়াও ক্যাম্পাস খালি থাকার সুযোগে, নানা রকম অনৈতিক কাজও হচ্ছে বলে জেনা গেছে। বহিরাগতরা ঘুরতে আশার সুযোগ নিয়ে এই সব অনৈতিক কাজ করছে।
বন্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই সব অনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর মুশফিকুর রহমানকে জিজ্ঞাস করা করা হলে তিনি বলেন, এই ব্যাপারে তিনি অবগত নন। অতি সত্তর ক্যাম্পাসে দ্বায়িত্বরত আন্সার সদস্যদের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিবেন।
ঢাকা, ০৫ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: