Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

চবিতে আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২২ আগষ্ট ২০১৭, ২২:০৪

চবি লাইভ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এ.এফ রহমান হলের  আবাসিক শিক্ষার্থী হেফাজ উদ্দিনকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে চবি শহীদ মিনারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও চবিসাসের প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক বাইজিদ ইমন বলেন, শোকের মাস আগস্ট কিন্তু এ মাসেই ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার শিকার হল আমার ভাই। এই কুলাঙ্গারদের শাস্তির আওতায় না আনলে বারবার ছাত্রলীগ কলুষিত ও সমালোচিত হবে। তা না হলে সাংবাদিকতা পরিবার কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

সূত্রে জানা যায়, বৈধ ভাবে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসাবে স্যার এফ রহমান হলের ৩১৭ নং কক্ষে সিট বরাদ্দ পায় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী হেফাজ। কিন্তু ওই কক্ষে তার সাথে আরো তিন শিক্ষার্থীকেও বরাদ্দ দেয়া হয়। থাকতে অসুবিধার কারণে ছাত্রলীগ কর্মী কামরুল বেশ কয়েক দিন ধরেই মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে সিট ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। তাতে কর্ণপাত না করায় সন্ধ্যার সময় কামরুলের নেতৃত্বে আরো ৪জন ছাত্রলীগ কর্মী সহ ওই কক্ষে এসে তাকে মারধর করে। পাশাপাশি হল ছেড়ে দিতে ও বিষয়টি কাউকে না জানাতেও হুমকি দেয়।  

মারধরকারীরা সকলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সোমবার রাত ৭ টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী সমাজতত্ত্ব বিভাগের কামরুল (২০১৬-১৭), বাংলা বিভাগের আল-আমিন (২০১৫-১৬), সংস্কৃত বিভাগের মুজাহিদ(২০১৫-১৬), অর্থনীতি বিভাগের রানা (১৬-১৭) ও ইতিহাস বিভাগের সাব্বির(১৬-১৭) মিলে ওই কক্ষে অবস্থানরত বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থী হেফাজকে এলোপাতাড়ি বুকে লাথি ও ঘুষি মারে। পরে হেফাজের বন্ধুরা তাকে চবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হেফাজ উদ্দিন বলেন, আমি  চবি প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগ জমা দেয়। প্রক্টর স্যার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে বলেছে।

এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগ স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, আমি এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পত্র পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা  নেয়া হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ