লাইভ প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও মহান জাতীয় শোক দিবস উদ্যাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার শোক দিবসের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভিসি ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
দিনব্যাপী অন্যান্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো- জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, শোকের প্রতীক কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ, চুয়েট কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক একটি কর্ণারের উদ্বোধন, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত ইত্যাদি।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়েট জাতীয় দিবস উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও পুরকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ হযরত আলী।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আশুতোষ সাহা, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুল আলম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কৌশিক দেব, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. সজল চন্দ্র বনিক, প্রভোস্টগণের পক্ষে ড. খুদরত-ই-খুদা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রহমান ভূইয়া, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সৈয়দ মুহাম্মদ ইকরাম, কর্মচারী সমিতির সভাপতি জনাব মোঃ জামাল উদ্দীন ও সদস্য আবদুল আল হান্নান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবিদ হোসেন খান, দেওয়ান মুহাম্মদ নুসরাত অমি ও মনিশী রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মানবিক বিভাগের লেকচারার নাহিদা সুলতানা ও সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, আজ বাঙালির হৃদয়ভাঙা শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়। যিনি তাঁর সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির মুক্তির জন্য, বাঙালির স্বাধিকারের জন্য, তাঁকেই জীবন দিতে হয়েছিল এই রাতে কিছু নরপিশাচের হাতে।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় শোক দিবস পালন তখনই তাৎপর্যপূর্ণ হবে, যখন আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবন সংগ্রামকে উপলব্ধি করব। তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন সোনার বাংলা গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করব। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে ইতিমধ্যে আমরা অনেক অর্জন করেছি। সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনের চলমান অগ্রযাত্রায় সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে।
ঢাকা, ১৫ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: