কুবি লাইভ: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন রোববার। আর এ সম্মেলনকে সফল করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে হল শাখা ছাত্রলীগ।
এরই মধ্যে সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। তবে কারা নতুন দায়িত্বে আসছেন তা এখনো জানা যায়নি। যৌগ্য এবং ত্যাগীরাই নেতৃত্বে আসবেন বলে শাখা ছাত্রলীগের একাধিক সুত্র থেকে জানা গেছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েএটাই কোন হল শাখা ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলন। জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত আবাসিক হলে শাখা ছাত্রলীগ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় চলতি মাসের প্রথমদিকে দিকে।
এরপর থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় উৎসবের আমেজ। আবার অনেকেই পদের জন্যও দৌড়ঝাপ দিচ্ছেন নেতাদের কাছে। একই সঙ্গে কর্মতৎপর হয়ে ওঠে হল শাখার নেতাকর্মীরা। এখন সবার মুখেই আলোচনার বিষয় সম্মেলন আর নতুন নেতৃত্ব।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। এই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় যথাক্রমে ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও রেজাউল ইসলাম মাজেদকে। এরই মধ্যে এই কমিটি সাংগঠনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু হলের সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগেরন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহাদৎ তারেক বলেন, ‘সম্মেলনকে সফল ও সার্থক করতে এই ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। সব ধরণের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আর এই সম্মেলনের মাধ্যমে ত্যাগী এবং যৌগ্যরাই নেতৃত্বও আসবে বলে আশা করছি।’
এদিকে সম্মেলনকে সামনে রেখে উৎসবের আমেজ বয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পাস জুড়ে। সবার মুখেই আলোচনা, কে হচ্ছেন পরবর্তী কান্ডারী। তবে প্রকাশ্যে কেউ নিজের প্রার্থীতার ঘোষণা দেননি। অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনজন প্রার্থীর নাম আলোচনার র্শীষে রয়েছে। এরা হলেন লোক-প্রশাসন বিভাগের ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহাদাৎ হোসেন তারেক, একই বিভাগের সপ্তম ব্যাচের ফয়জুল ইসলাম ফিরোজ ও হানিফ ওয়াহিদ। এদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে কে আসছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই তিনজন থেকেই দুইজন আসবেন দুই পদে। হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসের রাজনীতির একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। অনেক দিন ধরে এই হলের কমিটি না থাকায় কার্যক্রম চলছে মন্থর গতিতে। তাই আমরা যোগ্য ও ত্যাগীদের দায়িত্বে এনে এই শাখাকে আরও গতিশীল ও বেগবান করতে চাই। আমি মনে করি, কার্যক্রমে গতি আনতে হলে এই হলে কমিটি দেয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নাই।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘যারা দলের দূর্দিনের সময় বঙ্গবন্ধুর আর্দশে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পাশে ছিলেন তারাই দায়িত্বে আসবেন।’
ঢাকা, ২২ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: