Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা বয়কট কুবির সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষকদের

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বার ২০২২, ০৮:০২

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুবি লাইভ: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২২ এর প্রতি ১০৬ জন শিক্ষক অনাস্থা আনার বিষয়ে শিক্ষক সমিতির বর্তমান কমিটি কতৃক এক জরুরি সাধারণ সভা আহবান করা হয়। এই জরুরী সাধারণ সভাকে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে অভিযোগ করে সভায় আসেননি শিক্ষকদের বৃহৎ একটি অংশ।

বৃহস্পতিবার (৮ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্চে এই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬ জন শিক্ষকের মধ্যে শিক্ষক লাউঞ্জে ত্রিশ থেকে পয়ঁত্রিশ জন শিক্ষক জরুরি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিল।

শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের ১৩ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, যে কোন ধরনের সভায় (সাধারণ সভা, জরুরী সাধারণ সভা, তলবি সধারণ সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা) কোরামের জন্য মোট সদস্যের ৩০% সদস্যের উপস্থিতি বাধ্যতামূলকভাবে প্রয়োজন হবে। কোরাম হওয়ার আগে সভার কাজ শুরু করা যাবে না।

এই সাধারণ জরুরি সভা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচালক ড. মো: রশিদুল ইসলাম শেখ ক্যাম্পাস লাইভকে বলেন, এই সভা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এবং নিয়মবহির্ভূত। এভাবে উনারা সভা ডাকতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছে ২৬৬ জন। কোরাম পূর্ণ হতে লাগবে ৮০ জন শিক্ষক। তারা এখানে বসেছে মাত্র ৩০ জন শিক্ষক। তাদের নিজেদের লোকজনই তাদের বয়কট করেছে। শিক্ষকদের অনাস্থার আনার বিষয়ে যেহেতু তারা জরুরী সাধারণ সভা ডেকেছে তাহলে তারা নির্বাচনে গেলো কেন? নির্বাচনের আগেই অনাস্থা পত্র দেয়া হয়েছে।

শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের ১০ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন প্রতি বছরের ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। অনিবার্য কারণবশত যদি উপরোল্লিখিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব না হয় তবে কর্মরত কার্যনির্বাহী পরিষদ ১৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমিতির সাধারণ সভা আহবান করবেন এবং সেই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অনেক শিক্ষকের মতো এই সভায় যোগ দেননি নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক। এ ব্যাপারে তিনি ক্যাম্পাস লাইভকে বলেন, গঠনতন্ত্রে বলা আছে সাধারণ সভার কথা কিন্তু তারা বিশেষ সভা ডেকেছে তাই আমরা যাই নাই। গঠনতন্ত্রের ১০ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক অনিবার্য কারণে ১-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন স্থগিত হলে ১৬-৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যে একটি সাধারণ সভা ডাকতে হবে কিন্তু তারা তা না করে জরুরী সাধারণ সভা ডেকেছে যা গঠনতন্ত্রের কোথাও উল্লেখ নেই। তারা প্রথম থেকেই গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে কাজ করছে। গঠনতন্ত্রের বিরোধী হওয়ায় আমরা এখানে যাই নাই।

সভার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি দুলাল চন্দ্র নন্দী ক্যাম্পাস লাইভকে বলেন, আমি কিছু বলতে চাই না। আমার যা বলার তা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলে দিয়েছি।

একই বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, এটা আমাদের শিক্ষক সমিতির ভিতরের ব্যাপার। এসব ব্যাপারে আমি কোন কথা বলবো না।

ঢাকা, ০৮ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ