চবি লাইভ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগকর্মীর জন্মদিন উদযাপন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কমিটিতে পদ পাওয়া ও নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি পক্ষ আলাওল ও এএফ রহমান হলের বাসিন্দা শিক্ষার্থী। আরেক পক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলের। সোহরাওয়ার্দী হলের নেতৃত্ব রয়েছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম ও পদবঞ্চিত দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন নেতা। আর আলাওল ও এ এফ রহমান হলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ। শাটল ট্রেনের বগির নামে নামকরণ করা বিজয় গ্রুপটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে তিন হল দখলে রাখা নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিজয় গ্রুপের সোহরাওয়ার্দী হলের কর্মী বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের রিফাত বিন আজাদের জন্মদিন ছিল। আলাওল ও এ এফ রহমান হলের নেতাকর্মীরা রিফাতকে তাদের কর্মী দাবি করে তাদের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করার জন্য বলেন। কিন্তু রিফাতের জন্মদিন সোহরাওয়ার্দী হলে উদযাপিত হয়। এ নিয়ে ওইদিন রাতেই দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার রেশ ধরেই শুক্রবার রাতে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিজয় গ্রুপের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন। বিজয়ের পদবঞ্চিত নেতা দেলোয়ার হোসেন ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ তার ঠিকাদারি কাজ টিকিয়ে রাখার জন্যই ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছেন। কোনো কারণ ছাড়া আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন ওই দুই হলের নেতাকর্মীরা। তাই আমরাও প্রতিহত করেছি।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্রদলের এক নেতার নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে। কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা চড়াও হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলের মোহাম্মদ ওয়াহিদ তাঁর দলবল নিয়ে এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া এই ঘটনায় সরাসরি মদত দিয়েছেন। এটি ছাত্রলীগের জন্য দুঃখজনক।
তবে প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এর পেছনে যারা দায়ী তাদের খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা, ১২ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: