Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
৫ দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ বুঝে নিতে পারেনি প্রশাসন!

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ মাসের কাজ শেষ হয়নি ৬৫ মাসে

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবার ২০২২, ০৬:০০

ডরমিটরি নির্মাণের কাজ চলছে...

চৌধুরী মাসাবি, কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ডরমিটরি নির্মাণের কাজ নির্ধারিত সময়ের ৬৫ মাস পার হলেও এখনো শেষ হয়নি। ২০১৭ সালে মে মাসে শুরু হওয়া ১৫ মাস মেয়াদের প্রকল্পটি ৫ বার মেয়াদ বাড়ানো পরও বুঝে পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি বিভাগে শিক্ষক রয়েছেন ২৭১ জন। এদিকে আবাসন ব্যবস্থার সংকটের কারণে স্বল্প পরিসরের দু’টি ডরমেটরিতে কর্মকর্তাদের সাথে ভাগাভাগি করে থাকতে হচ্ছে শিক্ষকদের। যার ফলে মাত্র ২৮ জন পাচ্ছেন আবাসন সুবিধা। যা মোট শিক্ষকের অনুপাতে মাত্র ১০ শতাংশ। তিন তলা বিশিষ্ট শিক্ষক ডরমেটরিতে মোট ৩৮টি রুম হওয়ার কথা। যার প্রথম তলায় ১৩টি দ্বিতীয় তলায় ১১টি ও তৃতীয় তলায় ১৪টি।

শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পার করলেও শিক্ষকদের জন্য নেই কোন স্বতন্ত্র আবাসন ব্যবস্থা। প্রশাসনের সুষ্ঠু তদারকির, অদক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া, অদক্ষ জনবল দিয়ে কাজ করানো, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের ব্যার্থতায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এখনও বুঝে পায়নি। কিন্তু এই অনিয়মের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।
এখনও শেষ হয়নি কক্ষের ভেতরের কাজ

পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের সূত্রমতে, ২০১৭ সালের ১৭ মে ৫ কোটি ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬৪ টাকা ৫১ পয়সা বাজেটে প্রকল্প দুইটি কাজ শুরু হয়। যা পরবর্তীতে বেড়ে দাঁড়ায় ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ১ বছর মেয়াদ বাড়ানো হয় এরপর ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত আবার বাড়ানো হয়। পরবর্তীর্তে ৬ মাস বাড়িয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ। মেয়াদ শেষ হওযার ৪ মাস হলেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার।

সরেজমিনে নির্মাণাধীন ভবন ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ কাজ শেষ হলেও এখনও বিদ্যুতের কাজ, কিছু কিছু দরজার রঙ, বেলকনির থাই গ্লাস, ওয়াশরুমের কাজ ও স্যানেটারি ফিটিংসের কাজ বাকি রয়েছে। মূল প্রকল্পের ঠিকাদার জাকির এন্টারপ্রাইজ নিলেও তৃতীয় ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলমের তদারকিতে চলছে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। বিলম্বিত প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীর আলমকে কল দেয়া হলে তিনি ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমি এখন এই কাজ করি না। রাজিব নামে অন্যজন কাজ করে বলেই কল রেখে দেন তিনি।
এখনও বাকি ফিটিংস এর কাজ

ডরমিটরির তত্ত্বাবধায়ক এবং সহকারী প্রকৌশলী মো. বিল্লাল হোসাইন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, কাজগুলো অলমোস্ট শেষ। এখনও ফিনিশিং আর টুকটাক কাজ বাকি আছে। কাজ কেন শেষ হচ্ছে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কোন মন্তব্য করবো না। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক ভাল বলতে পারবে।

প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শাহাবুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, এ প্রকল্পের কাজ অফিসিয়ালি শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা আনঅফিসিয়ালি কাজ করতেছে। আমারা দ্রুত তাদের সাথে মিটিং এ বসবো তখন কেন কাজ শেষ করতে পারে নাই এসব নিয়ে কথা বলবো। যতটুকু কাজ করছে ততটুকুর বিল পাবে। কাজ শেষ না করলে বিল পাবে না।

উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমি যতটুকু জানি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তবে আমি এ বিষয়ে সম্পৃক্ত না তাই এই বিষয়ে কোন কিছু বলতে পারবো না।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ