চবি লাইভ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের ‘বিজয়’ ও ‘সিএফসি’ গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগে যোগদানের জন্য কর্মী সংগ্রহ করা নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় গ্রুপই শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী থেকে কর্মী সংগ্রহকে কেন্দ্র করে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে আইন অনুষদে বিজয় গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। যা এক পর্যায়ে বিবাদে রূপ নেয়। পরে বিকেলে সিএফসি গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে বিজয়ের কর্মীরা। রাতে আবার বিজয় গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে সিএফসি কর্মীরা।
একই ঘটনার জেরে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এলাকায় সিএফসি গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা। পরবর্তীতে দুপুরে বিজয় গ্রুপের কর্মী হাসান মাহমুদকে মারধর করে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। পরে বিকেলে দুই গ্রুপের কর্মীরা নিজস্ব হল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ মহড়া দিতে থাকে। সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা অবস্থান নেন শাহ আমানত হলের সামনে। অন্যদিকে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নেন। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজয় গ্রুপের নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘তর্কাতর্কি থেকে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের আশ্বাসে উভয়পক্ষ বসে সমস্যার সমাধান করে ফেলেছি।’
সিএফসি গ্রুপের নেতা সাদাফ খান বলেন, ‘হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়া রোববার তারা আমাদের এক কর্মীর গায়ে হাত দেয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালে তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু সোমবার সকালে আবার আমাদের আরেক কর্মীকে মারধর করে। এ খবর শুনে আমদের ছেলেরা রাস্তায় অবস্থান নেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে আমরা সরে আসি। ঝামেলা হবে এমন কোনো কাজ আমরা করতে চাই না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যারা অস্ত্রসহ মহড়া দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: