Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
উত্তেজনা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে...

মধ্যরাতে কুবি ছাত্রলীগের দু'গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বার ২০২২, ১৭:৪১

মধ্যরাতে কুবি ছাত্রলীগের দু'গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ

কুবি লাইভ: এবার মধ্যরাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের দু'গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পূর্বের ঘটনার জেরে কুবির দুই হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে আহত হয়েছে ১০ জন। তাদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জুমার নামাজের পর সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক নিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হল ও বঙ্গবন্ধু হলের নেতা-কর্মীরা বাকবিতন্ডা থেকে হাতাহাতিতে জড়ায়। বিষয়টি হলের সিনিয়র নেতারা সমাধান করে দিলেও রেশ থেকে যায় দুই হলের নেতা-কর্মীদের মনে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টায় নজরুল হলের কয়েকজন বঙ্গবন্ধু হলের সামনে খাবার খেতে গেলে আবার হাতাহাতি শুরু হয় তাদের মধ্যে এবং দুই হলের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীরা লাটি, স্টাম্প, রড সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে এক পক্ষ অন্যপক্ষকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু হলের নেতা-কর্মীরা নজরুল হলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করলে তারা নিজ হলে ঢুকে যায়। বঙ্গবন্ধু হলের নেতা-কর্মীরা হল লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে। ইটের আঘাতে উভয় হলের পাঁচ জন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয় এবং কয়েকজনের শরীরে বিভিন্ন অংশে জখম হয়।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ১২ ব্যাচের ইকবাল (আইন) ১৫ ব্যাচের অনুপ (নৃবিজ্ঞান) ১৪ ব্যাচের সোহাগ (রসায়ন) ও রাকিব (আইন) কাজী নজরুল ইসলাম হলের ১৩ ব্যাচের সাকিব হাসান দীপ (মার্কেটিং)। টানা আধা ঘন্টা সংঘর্ষ চলার পর হল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ থেমে যায় এবং উভয় হলের নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

সংঘর্ষের বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হলের ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশ ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হলের তিন-চারশ পোলাপাইন আমাদের হলে এসে হামলা চালায়। আমি হলের সবাইকে ভিতরে রাখার চেষ্টা করেছি। ওরা যেভাবে হামলা চালিয়েছে কয়েকজন মার্ডার হতে পারতো। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

সংঘর্ষের বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, "এসময় কারা কি করছে আমি দেখছি । আমি সবাইকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি । এখন হলের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে অবস্থান করছে। যে ঘটনাটা ঘটেছে এ ঘটনায় পরবর্তীতে না ঘটার জন্য আমার সভাপতির সাথে বসতে হবে এবং সবাইকে নিয়ে সমাধান করতে হবে।

সংঘর্ষ থামানোর বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, সংঘর্ষের কথা শুনে আমি হলে আসি। এরপর প্রক্টোরিয়াল টিমকে সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে নিয়ে এসে হলের ফটক বন্ধ করে দেই। এখন শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করছে। তবে আমার শিক্ষার্থীদের যারা মারধর করেছে তাদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ঘটনা শুনে আমরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়। এখন শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ অবস্থানে রয়েছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি বসে এটা সমাধান করবো।

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর(ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ