চবি লাইভ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মেধাবী শিক্ষার্থী আমিনুল হক বকুল। ২৫ বছর আগে ১৯৯৭ সালে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয়। দীর্ঘসময় পার হলেও বকুল হত্যার কোন বিচার হয়নি। এবার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন তার সহপাঠীরা।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বকুল হত্যার বিচার দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহীদ বকুল সৃতি সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশনের পাশে একটি কটেজে ঘুমাচ্ছিলেন বকুল। তখকার বেপরোয়া সংগঠন জামাত-শিবিরের খুনিরা ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে হত্যা করে। এই হত্যার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে শিবিরের একচ্ছত্র আধিপত্য ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে হত্যা, খুন এবং আতঙ্ক তৈরির মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাসকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল তারা। বকুল হত্যার মাধ্যমেও তারা এমন ভয় পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের এমন হিসাব উল্টে গেল সে সময়ে এ ক্যাম্পাসের কিছু সাহসী ও নিবেদিত প্রাণের দীপ্ত পদচারণায়। বকুলের বন্ধুরা সংগঠিত হলো ‘শহীদ বকুল স্মৃতি সংসদ’ গঠনের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, অত্যন্ত কষ্টের বিষয় হলো দীর্ঘ ২৫ বছরেও বকুল হত্যার বিচার হয়নি। বকুলের বৃদ্ধ বাবা-মা, চার ভাই ও দুই বোনের সংসারের সবাই এখনো প্রতীক্ষায় আছে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখবে বলে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বুয়েট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরকম ছাত্র হত্যাকাণ্ডের দ্রুততম সময়ে বিচারের রায় হওয়ায় বকুলের পরিবার, স্বজন-বন্ধুরা নতুন করে আশান্বিত হয়েছে বকুল হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়ে। তাই আমরা আজকের এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে শহীদ আমিনুল হক বকুল হত্যার বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ বকুল স্মৃতি সংসদের সদস্য ও চবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, বোটানি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার ভৌমিক ও সদস্য আব্দুর রহিম।
ঢাকা, ২৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজে//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: