কুবি লাইভ: সিনিয়র শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনার জেরে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনার রেশ শুরু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টায় তিন দিন আগের বাসে সিট রাখার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সিফাতকে মারধর করেন ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদমান সাকিব মবিন, রবিন দাশ, মিরাজ হাসান, ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদ মোল্লা, রিয়াজুল ইসলাম বাঁধন ও ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখার উপ-নাট্য ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক মো. রবিউল আলম রিয়াজ। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদসহ সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বসে ঘটনার সমাধান করে দিয়েছিলেন।
ওই ঘটনারই জের ধরে রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুই হলের শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের মাঝে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ সহ শাখা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা মিলে বিষয়টির সমাধানের করতে শাখা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে একত্রিত হয়। এই ঘটনায় দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আক্রমণাত্মক অবস্থা বিরাজমান।
এ বিষয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ জানান, আজকের এই ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা নেতৃবৃন্দরা বসে ঘটনার সমাধান করতে বসেছিলাম। কিন্তু দুই হলের কর্মীরা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় আজ কোন সমাধান সম্ভব হয়নি। আজকের এবং আগের ঘটনা নিয়ে আগামীকাল তদন্ত কমিটি ঘটন করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। এটা ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে সমস্যা, তাই তারা সমাধান করতে বসেছে। যদি তারা সমাধান করতে না পারে, তাহলে আমরা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।
ঢাকা, ২৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: