নোবিপ্রবি লাইভ: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত গুচ্ছ পদ্ধতির সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে শাখা ছাত্রলীগ।
৩০ জুলাই 'এ' ইউনিটের, ১৩ আগস্ট 'বি' ইউনিটের ও ২০ আগস্ট 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সারাদিন ছাত্রলীগের সহায়তা কার্যক্রম ছিলো চোখে পড়ার মতো। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তৎপর দেখা যায় নেতাকর্মীদের।
জানা যায়, পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে কলম, স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য মাস্ক ও মিনারেল ওয়াটার বিতরণ করেন নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ। এছাড়াও, অভিভাবকদের জন্য বিশ্রামাগার,শিক্ষার্থীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা, পরিবহন ব্যবস্থা, পরীক্ষার্থীদের জিনিসপত্র রাখা, তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা, পরীক্ষা চলাকালীন যানজট নিরসন, দেরি করে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য বাইক সার্ভিসসহ বিভিন্ন সহায়তামূলক কার্যক্রম চালান নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফলকে শাখা ছাত্রলীগের ৫ গ্রুপ তাদের বুথ স্থাপনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।বুথে সর্বদা সক্রিয় দেখা যায় ছাত্রলীগ ভলান্টিয়ারদের। ছাত্রলীগের সহায়তা বুথগুলোর নেতৃত্ব দেন নাঈম রহমান, মুহাইমেনুল ইসলাম নুহাশ,জাহিদ হাসান শুভ, নজরুল ইসলাম নাঈম ও আক্তারুজ্জামান জিসান।
ছাত্রলীগের সহায়তা কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন নোবিপ্রবিতে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
নাহিদ হাসান নামের পরীক্ষার্থী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ”আমার পরীক্ষা দিতে আসতে একদম ই দেরি হয়ে সায়,পরীক্ষা দিতে পারবো কিনা শঙ্কায় ছিলাম।পরে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা বাইক দিয়ে দ্রুত আমাকে পরীক্ষার হলে পৌছে দেন।”
এক অভিভাবক জানান, এখানে ছাত্রলীগের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। আমি অনেক দূর থেকে এই ক্যাম্পাসে আমার সন্তানকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছি। ক্লান্তি শরীরে প্রথমেই আমি ছাত্রলীগের ছেলেদের পানির বোতল হাতে পাই। এরপর তারা আমার বিশ্রামের ব্যবস্থা করেন।
ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ জানান, আমরা নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ বরাবরই সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায় প্রতিবছরের মত এইবারের ভর্তি পরীক্ষাতেও পরীক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কলম, সুপেয় পানি ও মাস্ক বিতরণ করেছি। এ ছাড়াও আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরীক্ষার্থীদের জিনিসপত্র রাখা, রাস্তার জ্যাম নিয়ন্ত্রণ, তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা,ক্যাম্পাসে অভিভাবকদের বিশ্রাম ও যাতায়াত ব্যবস্থা সহ সকল সহায়তামূলক কাজ করেছে।
নেতৃবৃন্দ আরোও জানান, ছাত্রলীগ সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে। আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের কোনো ভাই-বোন পরীক্ষা দিতে এসে যাতে সমস্যার সম্মুখীন না হয়। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সদা প্রস্তুত ছিলো চিকিৎসক টিম।
ঢাকা, ২১ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আরআই//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: