চবি লাইভ: এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগেরই সাতটি গ্রুপ। তারা শোকের মাসের পর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার চবি সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের ওই গ্রুপগুলোর নেতারা এ অনাস্থার কথা জানান।
একই সঙ্গে চবি ছাত্রলীগের কমিটি পুনর্মূল্যায়নে তিনটি দাবি তুলে ধরেন তাঁরা। এসব দাবি আদায় না হলে শোকাবহ আগস্টের পর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন নেতারা। এ সময় রুবেল-টিপুর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেন চবি ছাত্রলীগের কমিটিতে পদপ্রাপ্ত ৯৫ নেতা।
ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সমর্থিত সাতটি গ্রুপের নেতা ও সদস্যরা। এ সময় পদবঞ্চিতদের পুনরায় মূল্যায়ন ও অযোগ্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি তিনটি দাবি তুলে ধরেন তাঁরা। দাবিগুলো হলো- পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা, পদপ্রাপ্ত নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ক্রমানুসারে পুনর্মূল্যায়ন এবং কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া।
এদিকে চবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও বগিভিত্তিক গ্রুপ নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, 'চবি ছাত্রলীগের মূল নেতারা নিজেদের গ্রুপকে প্রাধান্য দিয়ে যোগ্য নেতাদের বঞ্চিত করেছেন। তাঁদের প্রতি আমরা আস্থা রাখতে পারছি না। আমাদের তিন দাবি আদায় না হলে শোকের মাস আগস্টের পর আন্দোলনে নামব।' এর কোন ব্যতিক্রম হবে না বলেও জানান তারা।
অন্যদিকে সহসভাপতি ও আরএস গ্রুপের নেতা রকিবুল হাসান দিনার বলেন,'চার-পাঁচ বছর আগে ক্যাম্পাস ছেড়ে গেছেন- এমন অনেকে পদ পেয়েছেন। কিছু পদপ্রাপ্ত নিজেরাই অবাক, কীভাবে পদ পেয়েছেন। এই কমিটির পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন।' সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলার মুখ গ্রুপের আবু বকর তোহা, একাকার গ্রুপের মইনুল ইসলাম রাসেল, কনকর্ডের আবরার শাহরিয়ার, উল্ক্কার সুমন খান, এপিটাফের সাজ্জাদ আনাম পিনন প্রমুখ।
জানাগেছে চবিতে সব মিলিয়ে ছাত্রলীগে গ্রুপ রয়েছে ১১টি। প্রতিটি গ্রুপ কোন না কোন নেতার। কোনটি এলাকা ভিত্তিক। আবার কোনটি নেতা নির্ভর।
ঢাকা, ১০ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: