চবি লাইভ: ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় দোষীদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। অবশ্যই এদের চিহিৃত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এসব কথা বলেছেন।
২৩ জুলাই দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪তম বার্ষিক সিনেট সভায় এ কথা জানান তিনি। উপাচার্য বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা মর্মাহত। প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন। র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিনই মিটিং করছে।
জড়িতদের বহিষ্কারের ব্যাপারে শিগগির ডিসিপ্লিনারি ও হেলথ কমিটির বৈঠক হবে। এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে দুজন চবির ছাত্র রয়েছেন। গ্রেফতাররা ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। তাদের ব্যাপারে কোন অবস্থাতেই ছাড় কিংবা তদবীর শোনা হবে না।
প্রসঙ্গত গত ১৭ জুলাই রাতে চবির এক ছাত্রী পাঁচজন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা বন্ধুকেও মারধর ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, তাদের মধ্যে তিনজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। বাকি দুইজন বহিরাগত ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। শনিবার চাঁদগাঁও ক্যাম্প র্যাবের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন। বলেছেন এরা আসলেই সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক ব্যানারে ঘুরে বেড়াতো।
পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলাও করেছেন ওই ছাত্রী। জড়িতদের বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে চবি ক্যাম্পাস। আস্তে আস্তে তা গণআন্দোলনে রুপ নেয়। শিক্ষার্থীরা দলে দলে এর প্রতিবাদ জানাতে থাকে।
ঢাকা, ২৩ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: