চবি লাইভ: 'বঙ্গবন্ধুকে শুধু জাতির পিতা নয়, নিজের আরেক পিতা মনে করি আমি। তাই আমার মনে হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমারও কিছু করা উচিত।' নিজের দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ‘তৃতীয় চোখ’র আয়োজনে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে ড. শিরীণ আখতার রচিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ এবং ‘৭ই মার্চের ভাষণ: একটি জাতির কথামালা’ নামক দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এসময় নিজের বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে চবি ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, 'আমি কিশোরী থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে দেখে অবাক হয়েছিলাম। মানুষ কীভাবে এত সুন্দরভাবে কথা বলে, বঙ্গবন্ধুকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুকে শুধু জাতির পিতা নয়, নিজের আরেক পিতা মনে করি আমি। আমার মনে হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমারও কিছু করা উচিত। জাতির পিতার প্রতি আমার যে শ্রদ্ধা সেখান থেকেই আমি বঙ্গবন্ধুর জন্য লেখার চেষ্টা করেছি। তবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও বেশি বেশি লেখা উচিত আমাদের। এভাবে বহুমুখি চর্চার ভেতর দিয়ে বঙ্গবন্ধু চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন।'
চবি শিক্ষক প্রফেসর ড.মহীবুল আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি প্রো-ভিসি প্রফেসর বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি কথাসাহিত্যিক প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, 'বঙ্গবন্ধু হলেন ইতিহাসের মহানায়ক। বাঙালির স্বপ্নসাধনার জাতিপুত্র। তিনি নিজেই ইতিহাসের জন্ম দিয়েছেন, তাঁর নিরন্তর সংগ্রামের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত একটি ভাষণ। অথচ এ ঐতিহাসিক ভাষণটি ছিলো সম্পূর্ণ অলিখিত। বঙ্গবন্ধুর সেদিনের ১৮ মিনিটের ভাষণ স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণে অনন্য ভূমিকা রেখেছে। তিনি মহাকালের সন্তান। বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের নয়, চিরকালের শেখ মুজিব হয়েই পৃথিবীর বুকে অম্লাণ হয়ে থাকবেন।'
প্রধান আলোচক ড. মোহীত উল আলম বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রকৃত অর্থেই হিমালয় সমান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি যখন রাজনীতির হাল ধরেছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো অনেকেই ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান সবাইকে ছাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠলেন। এই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সাড়ে ৪ হাজার নয় বরং সাড়ে ৪ লক্ষাধিক বই লেখা উচিত। সেই ধারাবাহিকতায় মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বইগুলো লিখেছেন। বঙ্গবন্ধুকে প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে তাঁর ওপর আরও বেশি বই প্রকাশের বিকল্প নেই।'
ড. সুমন হায়াতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব অভীক ওসমান। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন তৃতীয় চোখ সম্পাদক ও প্রকাশক আলী প্রয়াস। এসময় প্রকাশনার সাথে সংশ্লিষ্ট আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা, ২৭ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: