চবি লাইভ: সাহস আর হিম্মতের তারিফ করাটা কতটা বিব্রত তা বুঝতেই পারছেন। সামান্য অটোরিকশা চালকরা মারধর করেছে ১২ জন শিক্ষার্থীকে। তাও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধরের দৃশ্য অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি। সমাজের এই অবস্থার সমালোচনা করেছেন ক্যাম্পাসসহ অনেকেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১২ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটের চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ। কিন্তু এখনও কোন সুরাহা হয়নি।
আজ সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ এই ঘটনার প্রতিবাদের বিক্ষোভ করছে বলে জানাগেছে। সংশ্লিস্টরা জানান, বৃহস্পতিবার মারধরের ঘটনার কিছু সময় পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে ছাত্রলীগ। তাদের কর্মসূচি শেষ হয় রাত পৌনে ১০টার দিকে। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা ৬টি চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরাফাত রায়হান নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশা চালকের বাকবিতণ্ডা হয়। তখন জাভেদ নামে এক কম্পিউটার দোকান মালিক ওই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করেন। তারা আরও জানান, এই ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট অবরোধ করে। অপর দিকে অটোরিকশা চালকরা রেলক্রসিং এলাকায় লাগাতার যে শিক্ষার্থীকে পেয়েছে তাকেই মারধর করেছেন।
এতে প্রায় ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, 'আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখছি।' বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রোক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, 'এ ঘটনায় আগামী শনিবার সকাল ১১টায় চাকসুতে ভুক্তভোগী ও চালককে নিয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকে বিষয়টি সমাধান না হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হবে।'
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, 'আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখছি।'
ঢাকা, ১৫ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: