কুবি প্রতিনিধিঃ মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তাভাত-মাছ ও জমকালো সাংস্কৃতিক আয়োজনে কুবিতে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৪। শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শোভা যাত্রা শুরুর মাধ্যমে শুরু হয় দিবসটি উদযাপনের কার্যক্রম।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় ককসিটে ঘোড়ার ছবি, বাঘেরমুখ, সমৃদ্ধির প্রতীক হাতি ও টেপা পুতুল, আল্পনা ও নানা ধরনের কারুকার্য ও জমকালো বেশভূষা নিয়ে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠানের মূল ফটক দিয়ে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইউনিক মোড়, ময়নামতি যাদুঘর, শালবন বিহার প্রদক্ষিণ শেষে বৈশাখী চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ত্ব দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ আলী আশরাফ। শোভাযাত্রার শুরুতে সকল ধরনের অপশক্তি আর জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে নিয়ে শোভাযাত্রার সামনে পেছনে ঢাকের তালেতালে চলে বাঁশি আর নৃত্য। কারও হাতে ছিল বাহারি রঙের মুখোশ।
শোভাযাত্রা শেষে ভিসি বৈশাখী চত্ত্বরে বিভিন্ন বিভাগ ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের স্টল গুলোঘুরে দেখেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারকুন্ডু গোপীদাস, রেজিস্ট্রার মোঃমজিবুর রহমান মজুমদার, প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামালউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট দুলাল চন্দ্র নন্দীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে বাংলা বিভাগে আয়োজিত পান্তাভাত-মাছ ভোজনে যোগ দেন। পরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ‘হালখাতা-১৪২৪ বঙ্গাব্দ’ নামক বাংলা বিভাগের দেয়ালিকার মোরক উন্মোচন করেন।
তারপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে ভিসি উস্থিত থাকেন এবং খেলায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
দুপুর ২টা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন অনুপ্রাস কণ্ঠচর্চা কেন্দ্র, প্রতিবর্তন, প্লাটফর্ম ও থিয়েটার অংশ গ্রহণ করে।
নববর্ষ উদযাপন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোঃকামাল উদ্দীন বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য আমরা নিরাপত্তাসহ সকল বিষয়ে সচেতন ভাবে কাজ করেছি। সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠানগুলো সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ঢাকা, ১৪ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: