Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ফেসবুকে লেখালেখি, কুবির ৪০ শিক্ষার্থীকে শোকজ

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বার ২০২১, ০৩:২১

কুবি লাইভ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভাগ ও বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে, কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার, শিক্ষকদের সাথে আলোচনা না করে আন্দোলন ও ভিসির স্মরণাপন্ন হওয়ার দায়ে ৪০ শিক্ষার্থীকে শোকজ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। বিভাগীয় প্রধান মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন সই করা নোটিশে বলা হয়, আপনারা বিভাগীয় চতুর্থ ব্যাচ।

গত ১ সেপ্টেম্বর তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের কটূক্তি ও বিব্রতকর মন্তব্য করেছেন। শিক্ষকের সঙ্গে আপনাদের একাডেমিক অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের স্ক্রিনশট শেয়ার করে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এটি আপনারা করতে পারেন কি-না সে বিষয়ে বিভাগ জানতে চায়।

শোকজে আরো বলা হয়, বিভাগের আচলাবস্থা নিয়ে শিক্ষকরা তৎপর থাকা সত্ত্বেও বিভাগীয় একাডেমিক বিষয় নিয়ে ছাত্র-উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধানের সাথে আলোচনা ছাড়াই আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও সরাসরি উপাচার্যের স্মরণাপন্ন হওয়া বিভাগীয় শৃঙ্খলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধির লঙ্গণ। এমন কাজে বিভাগের শিক্ষকরা মর্মাহত। এই অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ডের জন্য বিভাগীয় একাডেমিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হলো। শোকজ পত্র পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, যে আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে সেখানে অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। আমরা এমনিতেই ভয়াবহ সেশনজটের কবলে ছিলাম। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আমরা আন্দোলন করেছিলাম। এখন এই নোটিশ পেয়ে আমরা ভয়ে আছি। এখন আমাদের পরীক্ষা চলছে। এরমধ্যে এ নোটিশ দিয়ে আমাদের মানসিক চাপে রাখা হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি আমাদের ফলাফলে এর প্রভাব পড়বে।

এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, বিভাগের শিক্ষা-সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা এবং করোনাকালীন অচলাবস্থায় যে সেশনজট তা নিয়ে ছাত্রদের মনে অসন্তোষ থাকতেই পারে। শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে তা নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এটাকে ব্যবহার করে কোনো শিক্ষককে নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যামে মন্তব্য কেন করল? তাদের সমস্যাগুলো প্রথমে ছাত্র উপদেষ্টা বা বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে পারতো।

তিনি আরও বলেন, এই একটা ব্যাচ নানা সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে, যেটা বিভাগকে বিব্রত করছে। তাদের চিঠি দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের এ বিষয়ে সতর্ক করা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধু্রী গণমাধ্যমকে জানান, আমি এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ