Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

এই গল্পের নাম "বেনামি ভাস্কর্য"

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০১৭, ২২:৩২

 

আমিনুল মহিম, নোবিপ্রবি লাইভ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'আপরাজেয় বাংলা',  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সংশপ্তক',রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের  'সাবাস বাংলাদেশ' বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বিজয় ৭১', কিংবা  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  'চেতনা ৭১' প্রভৃতি নানান উদ্দীপনা মূলক নামের এই ভাস্কর্য গুলো যেন স্বাধীন বাংলার একটুকরো প্রতিচ্ছবি।
 
এই ভাস্কর্য গুলোর সাথে মিশে আছে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম আর বাঙ্গালির মুক্তির চেতনা।

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থান পাওয়া ভাস্কর্য গুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিচ্ছে । নানা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা  ভাস্কর্য গুলো তরুন শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশকেই জানার আগ্রহ তৈরি করছে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের জেলা নোয়াখালীতে অবস্থিত দেশের অন্যতম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও এমনই একটি ভাস্কর্য নির্মাণ  করা হয়।

তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, উদ্বোধনের তিন বছর পার হলেও এখনো ভাস্কর্যটির নাম ঠিক কিরতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে স্থাপিত এই ভাস্কর্যে নাম ঠিক করা নিয়ে যেন কারো মাথা ঘামানোর সময় নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা ভাস্কর্য টি ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর সাইদুল হক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের সময় উপাচার্য নাম ঠিক করার তাগিদ দিলেও সেটি আর কাজে পরিণত হয়নি।

উদ্বোধনের সময় সাময়িকভাবে ভাস্কর্যটির নাম দেওয়া হয়েছিল 'স্বাধীনতা ভাস্কর্য'।  সেই অস্থায়ী নামের ওপর এখনো দাঁড়িয়ে আছে ভাস্কর্যটি।

এদিকে ভাস্কর্যটির নাম ঠিক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন মহল দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হচ্ছে হবে বলে কথা দিলেও কোন এক আজানা কারণে তা আলোর মুখ দেখছে না।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম সংগঠন নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির আহবায়ক নুরুল করিম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, "দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বৈচিত্র্যময় নামের ভাস্কর্য দেখা যায়। যেগুলো আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারন করে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমনি একটি ভাস্কর্য আছে। তৎকালীন উপাচার্য স্যার অস্থায়ী ভাবে 'স্বাধীনতা ভাস্কর্য' নাম দিয়েছিলেন। যাতে পরবর্তীতে সুন্দর কোন নাম দেওয়া যায়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় তিন বছর পার হয়ে গেলেও সেই অস্থায়ী নামেই আছে ভাস্কর্যটি। বাইরের কোন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ঘুরতে এসে ভাস্কর্যটির নাম জানতে চাইলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নাম বলতে পারেনা। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন যাতে ঐতিহাসিক এই ভাস্কর্যের নামকরণে শীঘ্রই এগিয়ে আসে।"

ভাস্কর্যের নামকরণ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর আবুল হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ''কোন কমিটির মাধ্যমে আগে নামকরণ  করা হয়েছিল কিনা সেটা আমার জানা নেই। তবে, এখন যে নামে আছে সেটা যদি পরিবর্তন করতে হয়। তাহলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আর যেহেতু এটা দীর্ঘদিন এভাবেই আছে সেহেতু হঠাত করে কিছু করা যাবেনা। একটা প্রক্রিয়া মধ্যমে করতে হবে। ছাত্রদের পক্ষ থেকে ভাস্কর্যের নামের ব্যাপারে সুনিদিষ্ট কোন প্রস্তাব থাকলে তারা উপাচার্যের কাছে আবেদন করতে হবে।"

উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, "যেহেতু একটা নাম দিয়ে দীর্ঘদিন চলছে। এখন চলমান নামের চেয়ে ভাল কোন প্রস্তাবনা আসলে সেটা উপাচার্যের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা যেতে পারে।"

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে দাবি তোলা হচ্ছে অস্থায়ী কিংবা দায় সারা নাম দিয়ে একটা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য স্থায়ী নামকরণ হয়না। তাই শীঘ্রই যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে নতুন করে নাম করনের দাবিও জানায় তারা।
 
 
ঢাকা, ২৩ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ