চবি লাইভ : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকের যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক মোস্তফা কামালকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে যেতে হচ্ছে। এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মৌখিকভাবে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সোমবার তাকে অবসরে পাঠানোর ঘোষনা দেয়া হয়। এর আগে দুপুর ১২টায় ওই চিকিৎককে অপসারণ ও বিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিবিএ অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন অনুষদ ঘুরে ভিসি অফিসের সামনে শেষ হয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নিলে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী তাদের ডেকে কথা বলেন। এসময় তিনি ওই ডাক্তারকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হবে এমন আশ্বাস দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. কামরুল হুদা বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে ওই চিকিৎসককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। তবে সোমবার অফিস সময় শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের এক ছাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করায় বিশ্¦বিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে যান। এসময় সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মোস্তফা কামালের শরণাপন্ন হলে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ছাত্রীর ওপর যৌন নিপীড়ন চালান বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।
পরে চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হল নিপীড়ক চিকিৎসক মোস্তফা কামাল হোসেনের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়কে যৌন নিপীড়নমুক্ত করে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে সার্বক্ষণিক নারী চিকিৎসক নিয়োগ প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের আধুনিকায়ন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সকালে সাতজনের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা, ১৪ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: