শেরপুর লাইভ: দরিদ্র পরিবারের সস্তান প্রতিবন্ধী ওয়াসিম নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এখন ভর্তি হতে প্রয়োজন প্রায় ২০ হাজার টাকা। এতো টাকা যোগাড় করার সামর্থ তার নেই।
ওয়াসিমের অবস্থা আর দশটা ছেলের মত নয়। সে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। একেবারে চোখের কাছে বই নিয়ে তাকে পড়তে হয়। অন্যদের মত তার আর্থিক স্বচ্ছলতাও নেই। বাড়ি বলতে বাঁশের ছাপড়ায় ভাঙ্গা টিনের ঘর। ভিতরে গিয়ে বসলে মনে হয় এই বুঝি ভেঙ্গে মাথায় পড়ে।
ওয়াসিমের বাড়ি শেরপুর জেলার সদর উপজেলার গাজির খামার ইউনিয়নের পলাশিয়া গ্রামে। আর্থিক দৈন্যতা ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ার কারনে এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ না পেলেও তার ছিল অদম্য ইচ্ছা শক্তি। ফলে সে ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় স্থান পায়।
কৃষি শ্রমিক (দিন মজুর) বাবার দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে ওয়াসিম ৬ষ্ঠ। অভাব ও দারিদ্রতার কষাঘাতের পরও লেখাপড়ার প্রতি তার আগ্রহ কখনো তাকে বাধ্য করেছে রাইস মিলে ধানের বস্তা টানতে, কখনো কাঠমিস্ত্রীর জোগালী হিসেবে, আবার কখনো সে কাজ করেছে কৃষি শ্রমিক হিসেবে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের জন্য সে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলো তার একমাত্র অবলম্বন ভাঙ্গাচোরা সাইকেলটি। এ সময়ই সে পরিচিত হয় ডপরে এর প্রতিষ্ঠাতা সেনাসদস্য শাহীন মিয়ার সাথে। শাহীন মিয়া তার ফর্ম ফিলাপের ব্যবস্থা করেন।
এইচএসসির পর তাকে কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছিলেন, জাতীয় বিশ্ব বিদ্যায়নের অধিনে স্থানীয় কলেজে অনার্সে ভর্তির জন্য। কারণ তার বাবার আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। দিন মজুরের কাজ করে সাত সদস্যের সংসারে সবার পেটের ভাতের ব্যবস্থাতা করতে হিমসিম খেতে হয় তার বাবার।
বর্তমানে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্থ। কোনমতে চলাফেরা করতে পারলেও একহাত অবশ। তাকে এক হাতে কাজ করতে হয়। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সংগতি নেই তার। চিকিৎসা চলছে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে।
তারপরও ওয়াসিমের অদম্য ইচ্ছা সে দিন মজুরের কাজ করে বাবা মাকে দেখার পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। ওয়াসিমকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সহায়তা করতে চাইলে ০১৮১২-০৮০১০১ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পরেন যে কোন সহৃদয়বান ব্যাক্তি।
ঢাকা, ০৭ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: