Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

উদ্বোধনের অপেক্ষায় চবির প্রথম ভাস্কর্য 'জয় বাংলা'

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবার ২০১৮, ০৪:০৫

চবি লাইভ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রতিষ্ঠার ৫১ বছর পর নির্মিত হলো মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রথম ভাস্কর্য। রাত পোহালেই তা উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করছেন চারুকলা ইনিস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের ৪১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈয়দ মো. সোহরাব জাহান। ভাস্কর্যটি নিমাণ কাজের অন্য দুই সহযোগীর হলেন, মুজাহিদুর রহমান মূসা ও জয়াশীষ আচার্য।

জানা যায়, কলা অনুষদের দিকে যাওয়ার পথে, বুদ্ধিজীবি চত্বর ও শহীদ মিনারের পাশে রাস্তার মাঝখানে নির্মান করা হয়েছে এই ভাস্কর্য। ভাস্কর্য নির্মান কমিটির সমন্বয়ক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী এবং সদস্য সচিব হলেন, চারুকলা ইনিস্টিটিউটের পরিচালক শায়লা শারমিন।

ভাস্কর্য নির্মান কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ভাস্কর্যের দুইটি স্তর রয়েছে। এর মধ্যে উপরের অংশে আছে তিনজন সরাসরি মুক্তিযোদ্ধার অবায়ব। যার মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী। এর মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নারী ও পুরুষের প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহণ বুঝানো হয়েছে।

নিচের অংশে আছে বর্তমান প্রজম্মের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করার বহি:প্রকাশ। নিচের অংশে আছে বেশকিছু শিক্ষার্থীর অবায়ব। এতে দুইজন পাহাড়ী বাঙালীর অবায়ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী বাঙালীদের অংশগ্রহনও তুলে ধরা হয়েছে।

নির্মাণ কৌশল: নির্মাতা সোহরাব জাহান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ভাস্কর্যটির নিচের অংশ নির্মানের ক্ষেত্রে লাইফ কাস্টিং মেথড অনুসরণ করা হয়েছে। আর উপরের অংশ সমসাময়িক মাধ্যম ও মেথড অনুসরন করা হবে।

উচ্চতা: ভাস্কর্যটির উচ্চতা হবে বেদী থেকে প্রায় ১৮ ফুট। আর প্রস্থ হবে প্রায় ২০ ফুট। এর মধ্যে উপরের স্তরে দুই মুক্তিযোদ্ধার উচ্চতা হবে প্রায় ১১ ফুট এবং নিচের স্তরে প্রতিটি মানব অবয়ব উচ্চতা লাইফ সাইজ ফুট।

ভাস্কর্য নির্মানের বিষয়ে নির্মাতা সোহরাব জাহান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, দেশ-বিদেশে অনেক কাজ করলেও কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য নির্মান এটাই আমার প্রথম কাজ।

বাংলাদেশের অন্যান্য ভাস্কর্যের চেয়ে এটির আলাদা বৈশিষ্ট্য কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্মিত অন্যান্য ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অংশগ্রহণ পরোক্ষ ভাবে বুঝানো হয়েছে। তবে এই ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধে নারীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য নির্মানে অনুভূতি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার জম্ম হয়নি বলে তাতে অংশ নিতে পারিনি। একজন ভাস্কর হিসিবে আমি এটির নির্মান কাজ মুক্তিযুদ্ধের সমান সময় ৯ মাস ধরে চালাচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধের কিছুটা স্বাদ নিতে।

চারুকলা ইনিস্টিটিউটের পরিচালক ও ভাস্কর্য নির্মান কমিটির সদস্য সচিব শায়লা শারমিন বলেন, ভাস্কর্য নির্মানের জন্য ৫ জন ভাস্কর নকশা জমা দিয়েছিল। এর মধ্য থেকে মূল্যায়ন কমিটি সোহরাবের নকশা অনুমোদন দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে বর্তমান প্রজম্মের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করার একটি চিত্র এতে থাকবে বলে আশা করছি।

উদ্বোধনের বিষয়টি ক্যাম্পাসলাইভকে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, ভাস্কর্যটির নির্মান কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আগামীকাল তা উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, ভাস্কর সোহরাব জাহান দেশ-বিদেশে নানা প্রদর্শনী, ওয়ার্কসপে অংশগ্রহন করেছেন। তার মধ্যে এশিয়ান আর্ট ভিয়েনাল, জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী এবং সম্প্রতি তিনি বৃটেনের ইয়ক বিশ্ববিদ্যিালয়ে একটি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন।

ত্রিমাতৃিক নানা মাধ্যমে তিনি শিল্প চর্চা করেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উন্মুক্ত পরিবেশে এই ভাস্কর্য তার প্রথম কাজ। এর আগে তিনি উন্মুক্ত পরিবেশে বেশ কিছু ম্যুরাল এবং সুনামগঞ্জে একটি ভাস্কর্য তৈরী করেছেন ।

 


ঢাকা, ২৪ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ