চবি লাইভ: ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তিকারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাইদুল ইসলামের ঢাবি, রাবি, জবি ও জাবির ৫০ শিক্ষকের বিবৃতি প্রদানের প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী ও সাবেক ইফতেখার উদ্দীন আয়াজের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মামলার স্বাক্ষী ও সাবেক উপ সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইমাম উদ্দীন ফয়সাল পারভেজ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিবৃতি প্রদানকারী শিক্ষকরা সম্পূর্ণভাবে মামলা দায়ের হওয়ার মূল বিষয় লুকিয়েছেন। ঢাবি শিক্ষক ড.ফাহমিদুল হক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের একটি যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেয়াকে অন্যায় হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
শাস্তিস্বরুপ চবি শিক্ষক মাইদুল স্যারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মামলায় স্পষ্ট করে বলা আছে চবি সমাজতত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃমাইদুল ইসলাম তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে হেয় প্রতিপন্ন করে লিখা হয়েছে 'হাসি না'। কোন একটি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলের ডাইনিং ও শোবার কক্ষের ছবির উপর ডালের বাটি বসিয়ে ছবি পোস্ট করে তার ক্যাপশনে লিখেছেন 'অতঃপর তোমরা আম্মাজানের
কোন কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করতে পারো.....'।
এই লিখাটি যেমন পবিত্র আল কুরআনের সূরা আর রহমানের আয়াতকে বিকৃত করা হয়েছে তেমনি প্রধানমন্ত্রীকেও কটুক্তি করা হয়েছে। যে দুটো বিষয়ে আমরা মামলা দায়ের করেছি
বা তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে তার সাথে শিক্ষকদের বিবৃতি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
আমরা মনে করি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে ওই ৫০ জন শিক্ষকের কর্মকান্ড মোটেও বুদ্ধিদীপ্ত নয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এতে শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়, আপনারা মিথ্যা, সত্য গোপনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুন। অপরাধীর পক্ষে অবস্থান থেকে সরে আসুন। সমালোচনা ভাষা আয়ত্ব করুন।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মামলার অপর স্বাক্ষী ও সাবেক উপ বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনার, ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম জিমেলসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাইদুল ইসলামের নামে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় হাটহাজারী থানায় মামলা করে শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সদস্য বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সদস্য ইফতেখার উদ্দীন।
এ ঘটনায় গত ৬ আগস্ট বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ তাকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন। এরপর উচ্চ আদালতের আদেশে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল।
আট সপ্তাহ শেষে সোমবার আদালতে আত্মসমর্পন করলে শুনানী শেষে আদালতে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। শিক্ষককে জেল হাজতে প্রেরণের প্রতিবাদে ও তার মুক্তির দাবীতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাবি, রাবি, জবি ও জাবির ৫০ শিক্ষক বিবৃতি দেয়।
ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: