চট্টগ্রাম লাইভ: চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাসায় ঢুকে এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এসময় ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করা হয়েছে। নগরীর চকবাজার থানাধীন বাুরতলা এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। সোমবার রাতে নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটলেও মামলা হয় বৃহস্পতিবার। ৬ জনকে আসামি করে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনায় জড়িত পাঁচ বখাটেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে। আসামিরা হল, চকবাজারের বাুরতলা জঙ্গিশাহ বাড়ীর ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুর রহমান চৌধুরীর ছেলে মো. মহিউদ্দীন (২২), বাদুরতলার মুন্সেফ আলীর বাড়ীর সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইমুন ইসলাম সাকিব (২২), বাদুরতলা জঙ্গীশাহ বাড়ীর আবু নাছেরের ছেলে আসিফ ইকবাল (২৫), চান্দগাঁও থানার বারইপাড়া ছত্তার মেম্বারের বাড়ীর মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে রাজবির হোসেন নয়ন (২২) এবং একই এলাকার হাজী রমজান আলীর বাড়ীর আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন আকাশ (২২)। অপর আসামি আহমেদ সেহেজাদ তারেক (২২) বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে ৬ বখাটে। এ সময় বাসায় বাদীর বান্ধবীর বন্ধু মুনতাসির ফরহাদ (২৪), শিক্ষক এস এম মনছুরুল হক (২৯) ছিল।
তাদেরকে বখাটেরা মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখে। একপর্যায়ে আহমেদ সেহেজাদ তারেক ওই ছাত্রীকে ওড়না দিয়ে দুই হাত বেঁধে ধর্ষণ করে। এরপর সাইমুন ইসলাম সাকিবও ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় একজন মোবাইলে বারি নগ্ন দৃশ্য ধারণ করে। এরপর আসামিরা ৫টি মোবাইল ফোন একটি ল্যাপটপসহ নগ ১০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। চকবাজার থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা, ১৩ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: