চবি লাইভ: কোনো ধরনের আন্দোলন বা দাবি দাওয়ার মুখে নয়, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে ভিসির সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. কামরুল হুদা ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) ফরহাদ হোসেন।
ভিসি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী প্রক্টরের কাছে একটি পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার নামে একটি অভিযোগ ওঠায় এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের পরিবার আদালতে মামলা করায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিনি এ পদ থেকে অব্যাহতি চান। পরদিন ২৮ নভেম্বর সকালে পদত্যাগপত্রটি হাতে পাওয়ার পর আমরা তাকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই।
‘দিয়াজের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত’ উল্লেখ করে ভিসি বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা তদন্তের আগে বলা যাবে না। যেহেতু এটি বিচারাধীন বিষয় তাই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। তবে কেউ কেউ এ ঘটনায় রহস্য তৈরি করার চেষ্টা করছে। তার পরিবার যেহেতু আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে, সেহেতু বিষয়টি আদালতেই নিষ্পত্তি হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিআইডি বর্তমানে দিয়াজের বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তের পর আনোয়ারের এ অব্যাহতি সাময়িক না স্থায়ী তা জানা যাবে।
‘তিনি একজন মেধাবী শিক্ষক’ আখ্যা দিয়ে ভিসি বলেন, তার অব্যাহতি নেয়ার সিদ্ধান্ত একটি সাহসী পদক্ষেপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ইস্যুতে আনোয়ারের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। নানা হুমকি-ধামকি সত্ত্বেও তাকে পিছু হটাতে পারেনি।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় বছরে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, দুটি হল নির্মাণ, সমাবর্তন, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণসহ নানামুখি উন্নয়ন হয়েছে।
এছাড়াও সেশন জট নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আগামী জুন মাসের মধ্যে সেশনজট নিরসনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
ঢাকা, ২৯ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: